স্টাফ রিপোর্টার//সময়নিউজবিডি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের আইরল গ্রামে এক প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে। গত রোববার রাতে আইরল গ্রামের প্রবাসী শফিকুল ইসলামের বাড়িতে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতরা বাড়ির লোকজনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ওই বাড়ি থেকে নগদ ১লাখ ২০ হাজার টাকা, দেড় ভরি ওজনের স্বর্ণলঙ্কার, কয়েকটি মোবাইল ফোনসহ প্রায় ৩ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুটে নেয়।

ডাকাতি শেষে চলে যাওয়ার গৃহকর্তী ফুলকিছ বেগম রাসেল-(৩০) নামে এক ডাকাতকে  আটক করে। খবর পেয়ে সোমবার সকালে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ও আটক ডাকাত রাসেলকে থানায় নিয়ে যায়।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ জানায়, রোববার রাতে সৌদি প্রবাসী শফিকুল ইসলাম তার বাড়ির পাশেই এক স্বজনের ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন।

রাত ২টার দিকে ৭-৮ জনের মুখোশপড়া সংঘবদ্ধ একটি ডাকাতদল শফিকুলের বাড়িতে প্রবেশ করে ঘরে ক্লাক্সিবল গেইটের তালা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে। পরে ডাকাতরা প্রবাসীর স্ত্রী ফুলকিছ বেগম ও সন্তানদের মারধর করে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ফেলে। পরে আলমিরার তালা ভেঙ্গে নগদ ১লাখ ২০ হাজার টাকা, দেড় ভরি ওজনের স্বর্ণলঙ্কার, কয়েকটি মোবাইল ফোন সেট সহ প্রায় ৩ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুটে নেয়।

ডাকাতি শেষে ডাকাতরা চলে যাওয়ার সময় রাসেল নামে এক ডাকাতকে পেছন থেকে জাবরে ধরে ফেলেন ফুলকিছ বেগম। পরে তিনি ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার শুরু করলে অন্য ডাকাতরা পালিয়ে যায়।

গৃহকর্তীর চিৎকারে স্বজন ও আশপাশের লোকজন এসে আটক ডাকাতকে উত্তম মাধ্যম দেয়। ডাকাত রাসেল বরগুনা জেলার গোবাখালি উপজেলার বামনা গ্রামের আবদুল আজিজের ছেলে।

সোমবার ভোরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সরাইল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ কবির হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ। পরে তারা ডাকাত রাসেলকে থানায় নিয়ে যান।

এ ব্যাপারে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আসলাম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ডাকাতির ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। গ্রেপ্তারকৃত রাসেলকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তিনি বলেন, সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এ ঘটনায় থানায় কোন মামলা হয়নি।

ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।