স্টাফ রিপোর্টার//সময়নিউজবিডি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগ কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী “জাতীয় শোক দিবস” উদযাপন উপলক্ষ্যে ৫ আগস্ট থেকে ২১ আগস্ট পর্যন্ত জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে ১৫ দিনব্যাপী কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে।

সোমবার (০২ আগস্ট) বেলা ১২টায় জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি’র সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকারের সঞ্চালনায় জুম অ্যাপসের মাধ্যমে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত সভায় জেলা আওয়ামীলীগ সহ সভাপতি পৌর মেয়র নায়ার কবির, হেলাল উদ্দিন, মুজিবুর রহমান বাবুল, আবুল খায়ের দুলাল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী, মঈন উদ্দিন মঈন, গোলাম মহিউদ্দিন খান খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক এডঃ মাহবুবুল আলম খোকন, নবীনগর পৌরসভার মেয়র শিব শংকর দাস, আলহাজ্ব মোঃ শাহ আলম, ব্যারিষ্টার জাকির হোসেন, মিজানুর রেজা, আবুল কালাম ভূইয়া, মুর্শেদ কামাল, এডঃ নাজমুল হোসেন, জহিরুল ইসলাম ভূইয়া, শাহীন আল বাদল, শাহে আলম ও ছাদেকুর রহমান শরিফ, মাহমুদুর রহমান জগলু, এডঃ শাহনুর ইসলাম এবং ফারুকুল ইসলাম প্রমুখ সম্পাদকমন্ডলী ও সদস্য সভায় সংযুক্ত ছিলেন। সভায় গৃহীত প্রতিটি কর্মসূচীতে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুসরণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

ভার্চুয়াল সভায় নেতৃবৃন্দ জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদকের বাসভবনে অগ্নিসংযোগের তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ এবং জড়িতের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করে এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে ঘটনাটিকে দুঃসাহসিক নাশকতা হিসাবে উল্লেখ করে ইহার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি বিধানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট ও পুলিশ সুপারের প্রতি আহবান জানানো হয়।

পাশাপাশি সভায় অভিযুক্ত সৈয়দ নজরুল ইসলামকে শোকজের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। নেতৃবৃন্দ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে, ফেসবুক আইডিতে ধারাবাহিকভাবে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন, অশালিন মন্তব্য ও চরম মানহানীকর অপপ্রচারের মাধ্যমে সামাজিকভাবে হেয়- প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টার সুস্পষ্ট ও প্রমাণিত অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অভিযুক্ত সৈয়দ নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে “কেন গঠনতান্ত্রিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না” সেই মর্মে ৭ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য শোকজ নোটিশ দেওয়ার সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এবং ঘটনায় এফআইআর ভুক্ত আসামী হিসেবে তার সম্পৃক্ততার বিষয়ে নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশকে আহবান জানানো হয়।

ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।