স্টাফ রিপোর্টার//সময়নিউজবিডি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে ট্রেনের ধাক্কায় রুবেল (৩৩), পাবেল (২৩) ও সাদেক মিয়া (৬০) নামে দুই ছেলেসহ বাবার মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) ভোরে উপজেলার তালশহর রেল ক্রসিং এলাকায় ঢাকাগামী একটি মেইল ট্রেনের ধাক্কায় এ দূর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের রাজঘর গ্রামের বাসিন্দা। এ ঘটনায় নিহতদের পরিবারে চলছে শোকের মাতম।
জানা যায়, আজ রবিবার ভোরে অসুস্থ বাবা সাদেক মিয়াকে ঢাকায় চিকিৎসার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের রাজঘর গ্রামের বাড়ি থেকে বের হন রুবেল মিয়া ও পাবেল মিয়া নামে দুই ভাই। তারা আশুগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন থেকে ট্রেনে করে ঢাকা যাওয়ার কথা ছিলো। পরে সকাল পৌনে ৫ টায় আশুগঞ্জ তালশহর এলাকার রেলক্রসিং অতিক্রম করার সময় চট্রগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী একটি মেইল ট্রেনের ধাক্কায় দুই ভাই মারা গেলেও তাদের বাবা সাদেক মিয়াকে গুরুতর আহত অবস্থায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে সকাল ১০ টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনিও মারা যান।
এ ঘটনায় একই পরিবারের বাবা ছেলেসহ তিন জনের মর্মান্তিক এ মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে আশপাশের লোকজন, পাড়া-প্রতিবেশী ও আত্মীয়স্বজন এসে ভীর করেন নিহতদের বাড়িতে। সবার চোখেই অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে।
নিহত সাদেক মিয়ার চাচা হুমায়ুন কবির জানিয়েছেন, দূর্ঘটনার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে কথা বলে জানতে পেরেছি, গেটম্যান গেট বন্ধ না করার কারনে এ ঘটনাটি ঘটেছে। আমরা এ ঘটনার জন্য দায়ীদের বিচার দাবি করছি।
ট্রেনের ধাক্কায় নিহত বাবা ও দুই ছেলে।
আশুগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আজাদুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, দূর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরে আমি নিজেও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানতে পেরেছি, গেটম্যান এর অবহেলার কারণে এ দূর্ঘটনাটি ঘটেছে। গেটম্যান তার কক্ষে অবস্থান করলেও ট্রেন আসার সময় গেইটটি বন্ধ না করায় এ ঘটনাটি ঘটে।
এদিকে, আখাউড়া রেলওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মাজহারুল করিম জানিয়েছেন, গেটম্যান এর কোন ত্রুটি ছিলো না। গেটম্যান যথাসময়ে গেট বন্ধ করলেও সিএনজির লোকজন গেট উপরে তুলে রেললাইন অতিক্রম করতে গিয়ে এ দূর্ঘটনাটি ঘটেছে।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply