স্টাফ রিপোর্টার//সময়নিউজবিডি

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র. আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধাদের ৪ ধরণের স্তর রয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের চেতনার স্তরের কারণেই আমরা অসুবিধায়। এটা আমাদের ব্যর্থতা। চেতনাগতভাবে আমরা ব্যর্থ হয়েছি।

বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা আয়োজিত বিজয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী ও মহান বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মোকতাদির চৌধুরী এমপি আরো বলেন, আমি সত্য কথা বলি, সত্য পথে চলি। মৌলতন্ত্রের পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমেই তাদের পথ সুগম হয়েছে। আওয়ামীলীগ নেতাদের মাধ্যমেই মৌলতন্ত্রের পৃষ্ঠপোষকতা শুরু হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। সবচেয়ে বড় তফসির এক আওয়ামীলীগ নেতার মাধ্যমেই শুরু হয়। আওয়ামীলীগের একটি বড় অংশ মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করেছিল। মোস্তাক আগাগোড়া আওয়ামীলীগ করেননি। পাকিস্তানপন্থি তথাকাথিত এই ফ্রিডম ফাইটার লেবাস ধরে চলছিল। তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের প্রসঙ্গে বলেন, ফেক মুক্তিযোদ্ধা রয়েছে। রাজনৈতিক সংকটের কারণে তাদের নাশ করতে পারিনি। ভূয়ারা ভাতা পাচ্ছে। তাদেরকে সাইজ করতে পারিনি। একজনকে সাইজ করেছি মাত্র, তবে তার নাম বলব না। মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের প্রেতাত্মারা তাদের সহায়তা করছে। আমি লড়াই পরিত্যাগ করবনা। এ লড়াই বাঁচার লড়াই, এ লড়াই আত্মার লড়াই। এ লড়াই চলবেই। সামনের দিনগুলো শিক্ষনীয়। শেখ হাসিনা চাচ্ছেন দেশকে এগিয়ে নিতে। সকলকে বুঝতে হবে। জাতিকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিতে পারিনা। ধর্মান্ধতা ও কুসংস্কার বেহেশতের পথ নয়। বেহেশতের পথ হলো বিজ্ঞান ভিত্তিক শিক্ষা। যার মাধ্যমে মানুষের কল্যাণ হয়। আপনারা মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে কথা বলেন, কিন্তু পাপিয়া কিংবা আলালের বিরুদ্ধে কথা বলেন না। যারা বঙ্গবন্ধুর মোড়ালে আঘাত করেছেন এসব কুলাঙ্গারদের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও ঘৃণা জানাচ্ছি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি মিসেস নায়ার কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খাঁন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজউদ্দিন জামি।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল কুদ্দুস। পৌরসভার কর নির্ধারক এস এম আলমের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পৌর পরিষদের পক্ষে ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র-২ আলহাজ্ব মিজানুর রহমান আনছারী, পৌর সার্ভিস এসোসিয়েশনের পক্ষে বাংলাদেশ পৌর সার্ভিস এসোসিয়েশন চট্টগ্রাম বিভাগের সিনিয়র সহ সভাপতি এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ গোলাম কাউসার। পরে অতিথিদের শুভেচ্ছা স্মারক প্রদান এবং মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।