সংবাদ শিরোনাম
কমলগঞ্জে উচ্চতর শিক্ষায় এককালীন বৃত্তি প্রদান ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৫ টি আসনে পুরোনোরাই পেলেন আ’লীগের মনোনয়ন।। একটিতে রদবদল বিজয়নগরে কমলা চাষে সফল সাইপ্রাস প্রবাসী আলমগীর ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে আ’লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করলেন সাবেক ছাত্রনেতা আরিফুর রহমান ৬ ইঞ্চি জায়গা নিয়ে বিরোধের জেরধরে বিজয়নগরে ভাইয়ের ভাই খুন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা।। ৭ জানুয়ারি ভোট গ্রহণ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় তিন ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৩৮ জন গ্রেফতার ডিবি পরিচয়ে র‍্যাব সদস্যের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সর্দার কালনকে গ্রেফতার কমলগঞ্জে গুড নেইবারস্ সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি লিমিটেড এর ৯ম বার্ষিক সাধারণ সভা কমলগঞ্জে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও উদ্বোধন করলেন উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ এমপি

পিঠে বড়শি গেঁথে শূন্যে ঘুরলেন এক নারী

পিঠে বড়শি গেঁথে শূন্যে ঘুরলেন এক নারী

ঠাকুরগাঁও সংবাদদাতা, সময়নিউজবিডি  

পিঠে বড়শি গেঁথে শূন্যে ঘুরালেন এক বিস্ময়কর নারীকে। চৈত্রসংক্রান্তি উপলক্ষে ৪২ বছর বয়সী রিতা রাণী দাশকে সুউচ্চ শিমুল গাছে দড়ি ঝুলিতে চড়কি শূন্যে ঘোরানো হয়েছে।

এ সময় ঢাকঢোলের বাজনা ও পূজা অচর্না করে পূজারিরা। আর দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে এ দৃশ্য দেখত সব ধর্মের হাজারো মানুষ।

শুক্রবার সন্ধ্যায় ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার জনগাঁও গুচ্ছ গ্রাম এলাকায় চড়ক উৎসবকে কেন্দ্র করে এ আয়োজন করা হয়।

উৎসব কমিটির সভাপতি আশীষ বর্মা বলেন, প্রতিবছর চৈত্র শেষে বৈশাখের শুরুতে এ আয়োজন করেন তারা। অন্য বছরে পুরুষ দিয়ে শূন্যে ঘুরানো হয়।

তবে তিনি বলেন বিষয়টি অমানবিক! কিন্তু মানুষ যে অসাধ্যকে সাধন করতে পারে তা সদৃশ্য করতে এই আয়োজন তাদের।

বিস্ময়কর নারী রিতা রাণী দাশ বলেন, অসাধ্যকে তিনি সাধন করেছেন বাবার উৎসাহে। এই কর্মে ভয় ও কষ্ট দুই জয় করতে পেরে তিনি গর্বিত।

তিনি বলেন, ২০০৮ সালে তার এই যাত্রা শুরু হয়। তার বাবা ক্ষিতিশ চন্দ্র রায়ের এটা একধরনের নেশা এবং পড়ে এটা পেশায় পরিণত হয়।

ষাটোর্ধ্ব বয়সী ক্ষিতিশ চন্দ্র রায় জানান, প্রতি বছর চৈত্রসংক্রান্তিতে এ দুঃসাহসী খেলা দেখিয়ে তিনি ৩৫-৪০ হাজার টাকা আয় করেন। পরে অন্য কাজে জড়িয়ে পড়েন। এভাবে চলে তাদের জীবন সংসার।

রাণীশংকৈল উপজেলার রাতোর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান শরৎ চন্দ্র রায় বলেন, হিন্দুধর্মে চড়ক পূজা বিষয়ে তেমন বাধ্যবাধকতা নেই। এটি অমানবিক।

তিনি আরও বলেন, ১৪৮৫ সালে সুদবানন্দ ঠাকুর নামে এক রাজা এই পূজা শুরু করেন। তবে ব্রিটিশ সরকার তা নিষিদ্ধ করেন। এর কারণ এটি নির্মম ও নির্দয়।

সাঁওতাল সম্প্রদায়ের এক নারী সোনালী হেমব্রন বলেন, কথিত পূজার নামে মানুষ নিয়ে চলছে প্রভাবশালীদের আনন্দযজ্ঞ।

ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।  

সংবাদটি পছন্দ হলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Somoynewsbd24.Com