স্টাফ রিপোর্টার//সময়নিউজবিডি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অটোরিকসা চালক রনি মিয়া-(১৪) হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। হত্যাকান্ডে জড়িত দুই আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের মজলিশপুর গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে মোঃ জাকির হোসেন-(২৭) এবং সরাইল উপজেলার ইসলামাবাদ (গোগদ) গ্রামের শাহজাহান মিয়ার ছেলে মোঃ সোহেল মিয়া-(২৫)।
গত সোমবার বিকেলে গ্রেপ্তারকৃতরা আদালতে রনি মিয়াকে হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে। এর আগে গত রোববার রাতে সদর উপজেলার নন্দনপুর এলাকা থেকে পুলিশ জাকির হোসেন ও সোহেল মিয়াকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ জানায়, গত ১২ ডিসেম্বর বিকেল ৩টায় জাকির হোসেন ও সোহেল মিয়া তাদের সহযোগীদের নিয়ে মজলিশপুর গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে রনি মিয়ার অটোরিকসা ভাড়া করে পৌর এলাকার ছয়বাড়িয়া গ্রামের নির্মানাধীন একটি আবাসন প্রকল্পের ( ডিসি প্রজেক্ট) এর সামনে আসে।
পরে তারা রনি মিয়ার অটোরিকসাটি ছিনিয়ে নেয়ার উদ্দেশ্যে তার হাত পা বেধে তাকে ছুরিকাঘাত করে ও মাফলার দিয়ে পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে রনি মিয়াকে হত্যা করে তার লাশ প্রজেক্টের ভেতরে বালি চাপা দেয়। পরে তারা অটোরিকসা ও রনি মিয়ার মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যায়।
এদিকে রনি মিয়ার কোন খোঁজ না পেয়ে তার বাবা দুলাল মিয়া ১৩ ডিসেম্বর সদর মডেল থানায় একটি জিডি (সাধারণ ডায়েরী) করেন।
গত ১৭ ডিসেম্বর ডিসি প্রজেক্টের ভেতরে বালি চাপা দেয়া অবস্থায় মানুষের পা দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ সেখান থেকে অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে। পরে খবর পেয়ে নিহতের বাবা দুলাল মিয়া এসে লাশ তার ছেলে রনি মিয়ার বলে সনাক্ত করেন। এ ঘটনায় দুলাল মিয়া অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে পুলিশ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে গত ২০ ডিসেম্বর রাতে সদর উপজেলার নন্দনপুর এলাকা থেকে হত্যাকান্ডে জড়িত দুই আসামীকে গ্রেপ্তার করে।
এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আবদুর রহিম দুই আসামীকে গ্রেপ্তারের কথা স্বীকার করে বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা সোমবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেছে। অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply