স্টাফ রিপোর্টার//সময়নিউজবিডি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউপির নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন ভুইয়া বলেছেন, আল মামুন সরকারের অন্ধ চোখ খুলে যাক। উনি আমাদের শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব, উনি জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক, উনি ১৯৯৬ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন। উনাকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাও চেনেন। উনার মতো ব্যক্তি কিভাবে বলেন, জামালের সাথে যারা আছেন তারা আওয়ামীলীগের জারজ সন্তান। তাহলে তিনি কি ২০২৩ সালে নির্বাচনে বিষ্ণুপুর ইউনিয়নে ভোট চাইতে আসবেন না। তখন উনাকে কথাটি আপনারা জিজ্ঞেস করবেন। তবে আমার অভিভাবক র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী যদি মনোনয়ন পান তাহলে সেটি ভিন্ন ব্যাপার। আমি আওয়ামীলীগ করি সত্য। আওয়ামী রাজনীতির বাহিরে আমার একটা পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে মাননীয় এমপি মহোদয়ের পরিবারের সাথে। উনাকে আমি পিতার মতো মনে করি। উনি আমার অভিভাবক। আর সন্তান যতই খারাপ হউক কোনো পিতা তাকে অস্বীকার করেন না।
সোমবার (০৩ জানুয়ারি) বিকেলে বিজয়নগর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের কালাছড়া স্কুল মাঠে নির্বাচন পরবর্তী মতবিনিময় সভায় নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মোঃ জামাল উদ্দিন ভুইয়া এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ইউপি নির্বাচনের পূর্বে আওয়ামী লীগের তৃণমূলের সর্বাধিক ভোট পেয়েও আমি আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন পায়নি। আমি মনোনয়ন না পেয়ে তৃণমূল জনগনের অনুরোধে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি। কিন্তু নির্বাচনের পূর্বে আল মামুন সরকার বিষ্ণুপুরে একটি সভায় আমাকে মাদক ব্যবসায়ীর প্রার্থী হিসেবে উল্লেখ করেন। আমার সাথে যারা আছেন তারা সবাই মাদক ব্যবসায়ী। তাহলে যাদের ভোটে আজ আমি চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছি, তারা কি সভাই মাদক ব্যবসায়ী এই প্রশ্ন আমি প্রিয় নেতা আল মামুন সরকারের কাছে রাখছি। উনি ঐ সভায় বলেছেন আমাকে নাকি পুলিশ মাদক সেবনরত অবস্থায় আটক করেছিলো। কিন্তু কোন পুলিশ আমাকে আটক করেছিলো সেটিও যেন বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের জনগনের কাছে এসে বলে যান।
বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডের ফিরিস্থি তুলে ধরে জামাল উদ্দিন ভুইয়া বলেন, আমি বিগত দিনে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে ঘুরে এমপি মহোদয়ের আন্তরিক সহযোগিতা নিয়ে অনেক উন্নয়ন করেছি। আমি আগামী এক বছরের মধ্যে এ ইউনিয়নের সকল কাঁচা রাস্তা পাকা করার পরিকল্পনা নিয়ে চেষ্টা করছি। ইনশাল্লাহ আপনাদের দোয়া ও সহযোগিতা নিয়ে আমি এ কাজটি করতে পারবো। তিনি আরো বলেন, আল মামুন সরকার বলেছেন, আমাকে বহিষ্কার করেছেন। আমার প্রশ্ন, আওয়ামীলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কোনো সদস্যকে বহিষ্কার করার পূর্বে ৭ কার্য্যদিবসের সময় দিয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিতে হবে। কিন্তু সেই নোটিশ তো আমি পায়নি। আমি সেই নোটিশটি কোথায় আছে সেটি জানতে চাই।
জামাল উদ্দিন আরো বলেন, গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলের পক্ষে নির্বাচন করতে গিয়ে আমি মামলাও খেয়েছি। কিন্তু দলের বিরুদ্ধে কাজ করার দায়ে সিঙ্গারবিল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম ভুইয়াকে বহিষ্কার করা হয়। আমার জানা মতে দলের বহিষ্কৃত কোনো কর্মী তো দলের মনোনয়ন পেতে পারেন না। এমনকি চাইতেও পারেন না। কিন্তু উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম ভুইয়া ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আল মামুন সরকারের নিজস্ব গঠনতন্ত্রের কারণে বহিষ্কৃত মনিরুল ইসলাম ভুইয়াও এবার দলের মনোনয়ন পেয়েছেন।
সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ইউসুফ আলীর সভাপতিত্বে ও বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আহাদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাবেক ইউপি মেম্বার হামিদুল হক তোতা মিয়া, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি হোসেন মিয়া, ডাঃ আল আমিন, ইউপি মেম্বার ফরহাদ মিয়া, ইউপি মেম্বার ইসহাক মোল্লা, ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি ডাঃ হুমায়ুন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান মুন্না প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মোঃ জামাল উদ্দিন ভুইয়াকে কালাছড়া গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করা হয়।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply