সংবাদ শিরোনাম
বিজয়নগরে শ্রমিক লীগ নেতার উপর সন্ত্রাসী হামলা

বিজয়নগরে শ্রমিক লীগ নেতার উপর সন্ত্রাসী হামলা

বিজয়নগর প্রতিনিধি 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন মোঃ মিজান মিয়া (৩৫) নামে এক শ্রমিক লীগ নেতা। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার (০৫ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় উপজেলার চম্পকনগর বাজার এলাকায়। আহত মিজান উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের টুকচানপুর গ্রামের মৃত দুধ মিয়ার ছেলে। সে বিজয়নগর উপজেলা শ্রমিকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। 

জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর বাজার থেকে উপজেলা শ্রমিকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মিজান মিয়াকে একই উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান রতনের উপস্থিতিতে ও নির্দেশে তার লোকজন মিজানকে ফিল্মি স্টাইলে তুলে নিয়ে চম্পকনগর বাজারের উত্তর পশ্চিম পাশে রতনের শ্বশুর বাড়ি ঘেরাগাঁও মনার ঘরের পশ্চিম পাশে পুকুরের পাড় নিয়ে রড দিয়ে এলোপাথাড়ি মারধর করে। এতে শ্রমিক লীগ নেতা মিজানের দুটি পা ভেঙ্গে রক্তাক্ত জখম করে ফেলে দিয়ে চলে যায়।

বিজয়নগর উপজেলা শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মিজান মিয়া।


পরে মিজানের বাঁচাও বাঁচাও আত্ম চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আশংকাজনক হওয়ায় মিজানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা প্রেরণ করেন। বর্তমানে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন শ্রমিক লীগ নেতা মোঃ মিজান মিয়া।
শ্রমিক লীগ নেতা মিজানের পরিবার সূত্রে জানা যায়, পত্তন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান রতনের সাথে রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত বিরোধ দীর্ঘদিন যাবৎ চলে আসছিল। রতন চেয়ারম্যান এর বিভিন্ন অন্যায় ও অপকর্মের প্রতিবাদ করতো মিজান। এসব ঘটনার জের ধরে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে শুক্রবার সন্ধ্যার পর চম্পকনগর বাজারের জলফু মেম্বারের দোকানের সামনে থেকে রতনের লোকজন মিজানকে ধরে নিয়ে ঘেরাগাঁও রতনের শ্বশুর বাড়ি সংলগ্ন মনা মিয়ার বাড়ির পশ্চিম পাশে পুকুর পাড়ে নিয়ে আনোয়ার,গনুর বাড়ির আব্দুল্লাহ, সিজদার মিয়ার ছেলে, মিষ্টু , তাহের ও আবুল হোসেন সহ ২০/২৫ জন মিলে লোহার রড দিয়ে এলোপাথাড়ি মারধর করেন। এসময় রতন চেয়ারম্যান নির্দেশ দেন তাকে মেরে ফেলতে।              

             

এ ব্যাপারে উপজেলা শ্রমিকলীগের সাধারন সম্পাদক আবুল বাশার বলেন, মিজান উপজেলা শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দলের সকল কার্যক্রমে অংশ গ্রহনের মাধ্যমে সক্রিয় ছিলেন।  তার উপর যারা এই সন্ত্রাসী হামলা করেছে তাদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবী করছি।               

     

সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি নুরে আফজাল জানান, ঘটনার সময় আমি ঢাকায় ছিলাম। পরে আজ শনিবার আমি পঙ্গু হাসপাতালে গিয়ে গুরুতর আহত মিজানকে দেখে এসেছি। সে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। আমি এ ন্যাক্কারজনক সন্ত্রাসী হামলার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবী করছি। 
এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার ওসি তদন্ত সুমন কুমার আদিত্য জানান, ঘটনাটি আমি শুনেছি। এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ করা হয়েছে কিনা আমার জানা নেয়নি। তবে অভিযোগ ফেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর। 

সংবাদটি পছন্দ হলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Somoynewsbd24.Com