স্টাফ রিপোর্টার//সময়নিউজবিডি
বেসরকারি শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ ও পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতাসহ ৮ দফা দাবি পূরণের লক্ষ্যে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দিয়েছে স্বাধীনতা শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশন।
মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীসহ স্বাধীনতা শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশনের নেতারা অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন স্বাধীনতা শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশনের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সভাপতি অধ্যক্ষ আকরাম খান ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ কবির পহাসেন, শিক্ষক নেতা শাহজাহান ভূঁইয়া প্রমুখ।
এছাড়া আরো বক্তব্য রাখেন মোঃ মাঈনুদ্দিন, মোঃ মোখাদ্দেস মিয়া, আশরাফুল লতিফ তুহিন, হালিমা খন্দকার, র“মানুল ফেরদৌস, স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ আশুগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি মোঃ শাহ জাহান মিয়া, আশরাফ উদ্দিন, মোঃ হামিদুল নবী সরকার, মোঃ রফিকুর ইসলাম, মোঃ কামাল উদ্দিন, মোঃ কাওসার আলম বাবুল, মোঃ শাহাগীর মৃধা, মোঃ নজর“ল ইসলাম, আকিদা আক্তার আখি, মোঃ মিজানুর রহমান, মাওলানা নুর“ল ইসলাম, মোঃ মুমিনুল ইসলাম, শারমিন আক্তার, ফাতেমা আক্তার, ফাতেমা বেগম, উম্মে আসমা, আজহারুল ইসলাম প্রমুখ।
মানববন্ধনে স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের নেতারা জানান, ঐতিহাসিক মুজিববর্ষেই শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের ঘোষণা মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ‘সার্বজনীন বিজ্ঞান ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা’ বাস্তবায়ন করতে হবে। আসন্ন ঈদের আগে পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা প্রদান এবং সরকারি অনুরূপ বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা প্রদানের জন্য আসন্ন বাজেটে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করতে হবে। সরকারি সকল শর্ত পূরণ করে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সকল স্কুল কলেজ মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানকে অতি দ্রুত এমপিওভুক্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
শিক্ষা প্রশাসন বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ড বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় মাউশিসহ বিভিন্ন অধিদপ্তর ও শিক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতর থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধীদের অবিলম্বে প্রত্যাহার করে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সৎ যোগ্য ব্যক্তিকে পদায়ন করতে হবে। বক্তারা আরো বলেন, করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের জন্য আর্থিক প্রণোদনা প্রদান, সকল শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে ডিভাইস খাতা কলমসহ অন্যান্য শিক্ষা সামগ্রী প্রদান ও মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানে দুপুরের খাবার সরবরাহ করতে হবে।
শূন্য পদের বিপরীতে ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের বদলীর ব্যবস্থা কার্যকর করতে হবে। অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক কর্মচারীদের শেষ আশ্রয়স্থল শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ ট্রাষ্ট ও অবসর বোর্ডের জন্য পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ করতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা কমিটিতে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে। স্কুল পর্যায়ে ন্যূনতম ডিগ্রি পাস ও কলেজ পর্যায়ে মাস্টার্স পাস ব্যক্তিদের নিয়োগ দান করতে হবে।
৮ দফা যৌক্তিক দাবি দ্রুত বাস্তবায়নের জন্যে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আহবান জানান। যদি দাবি মানা না হয় তাহলে পরবর্তীতে আরও বৃহৎ আকারে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেন বক্তারা। পরে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন শিক্ষক নেতারা।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply