নাসিরনগর উপজেলা প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে নিখোঁজের দুদিন পর রনি ওরুফে ছোটন (৬) নামের এক শিশু মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (০২ মার্চ) বেলা আড়াইটার দিকে জেলার নাসিরনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের কুলিকুন্ডা গ্রামের একটি পুকুর থেকে শিশুর মরদেহটি উদ্ধার করা হয়৷ নিহত ছোটন সদর ইউনিয়নের ওই গ্রামের প্রবাসী মো. আব্দুল হাই ভূইয়ার ছেলে। এই ঘটনায় দুই কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ ফেব্রুয়ারী বিকেলে ছেলে রনি ওরুফে ছোটন মোবাইল নিয়ে বাড়ির বাইরে খেলা করছিলেন। এসময় মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট প্যাকেজ চালু করে দেয়ার কথা বলে প্রতিবেশি শাহ আলম এর ছেলে রিফাত ও তার দুই বন্ধু লিটন আর ইয়াছিন ফুসলিয়ে ছোটনকে সাথে করে নিয়ে যায়। তারা শিশু ছোটনকে পার্শ্ববর্তী দাঁতমন্ডল গ্রামে ওরসে নিয়ে যায়। সন্ধ্যায় পরিবারের সদস্যরা ছোটনকে না পেয়ে হাতে থাকা মোবাইলে ফোন দিলে রিফাত ফোনটি রিসিভ করার পর বন্ধ করে দেয়। ওই ঘটনায় রনির মা সুলেমা বেগম বাদী হয়ে নাসিরনগর থানা একটি সাধারণ ডাইরী করেন।
সাধারণ ডায়েরির পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, সর্বশেষ রিফাত ও তার বন্ধুদের সাথে শিশু ছোটনকে দেখা গেছে। বৃহস্পতিবার সকালে রিফাতকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে রিফাত স্বীকার করে, তার দুই বন্ধু লিটন ও ইয়াছিন মিলে ছোটনকে হত্যা করে নুরপুর গ্রামের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আহসানুল হকের পুকুরে ডুবিয়ে রেখেছে।
পরে বেলা আড়াইটার দিকে নুরপুরের পশ্চিমে ও কুলিকুন্ডার পূর্বপাশে অবস্থিত একটি পুকুরের পানির নীচে হাতপা বাধা অবস্থায় ছোটনের অর্ধগলিত লাশ উদ্বার করে পুলিশ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাসিরনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হাবিবুল্লাহ সরকার জানান, কুলিকুন্ডা গ্রামের শাহ আলমের ছেলে রিফাত মিয়া (১৩) ও আবুল হোসেনের ছেলে লিটন (১৭) আটক করা হয়েছে। ইয়াছিন পালিয়ে গেছে। তাকেও আটকের চেষ্টা চলছে। তবে কি কারণে শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে, তা জানতে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply