সাকিব, সদর উপজেলা (কক্সবাজার) প্রতিনিধি কক্সবাজার সরকারি কলেজের খতিয়ানভুক্ত ভূমির অংশ দখলে চেষ্টা করছে একটি ভূমিদস্যু চক্র। তাদের হাত থেকে ভূমি রক্ষায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের এক বিশাল মানববন্ধন করেছে। ৫ মে রবিবার দুপুর ১ টায় কয়েক হাজার সাধারণ শিক্ষার্থীরা কলেজ গেইটস্থ কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে এ মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা।
এ সময় তারা ভূমি দখলদারদের কালো হাত ভেঙ্গে দাও বিভিন্ন স্লোগান দেন শিক্ষাথীরা । কলেজ সূত্রে জানা যায়, কলেজের খাতিয়ানভুক্ত বিএস দাগ- ২৩৫১৩ এর অংশবিশেষ জনৈক এফাজ উল্লাহ ও স্থানীয় মৃত আব্দুর রশিদের পুত্র ছৈয়দুল হক যোগসাজশে বিগত ২০১৪ সাল হতে বিভিন্নভাবে উক্ত জায়গা জবর দখলের পায়তারা চালিয়ে আসছে। ২০১৪ সালের ১৪ অক্টোবর কলেজ কর্তৃপক্ষ কক্সবাজার সিনিয়র সাব-জজ আদালতে একটি অপর মামলা (৫৭৬/১৪) দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত উক্ত ভূমিতে কোন ধরণের স্থাপনা না করার জন্য অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেন। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী কুচক্রী মহলের সহায়তায় উক্ত এফাজ উল্লাহ ও ছৈয়দুল হক উল্লেখিত জায়গায় বারবার স্থাপনা তৈরির অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে ভূমি দস্যুদের অপকর্মের কারণে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তারা এ বিষয়ে তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন।
কলেজ শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম জানান, এ কলেজের সম্পদ আমরা সাধারণ শিক্ষার্থী কোনভাবেই ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যবহার করতে দিবো না। কলেজের সম্পদ রক্ষায় প্রয়োজনে রক্ত দিবো।
আইমন নামে অপর শিক্ষার্থী জানান, কলেজ সম্পদ দখলের অপচেষ্টা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। যদি ভূমিদস্যুদে বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া না হয় তবে আমরা কঠোর আন্দোলন দিতে বাধ্য হবো।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, কলেজ প্রশাসনের পক্ষ থেকেও বিষয়টি সম্পর্কে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, কক্সবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, বরাবর একাধিকবার পত্র প্রেরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরাও কক্সবাজারের স্থানীয় প্রশাসন বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে। সর্বশেষ গত ২৭ এপ্রিল কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর ভূমি দখলদারদের অপচেষ্টা হতে কলেজের জমি রক্ষার্থে স্মারকলিপি প্রদান করে।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর এ.কে.এম ফজলুল করিম চৌধুরী জানান, এ সম্পত্তি রক্ষার জন্য প্রশাসনিক ভাবে সকল প্রকার আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট সকল ঊর্ধ্বতন মহলকেও বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply