স্টাফ রিপোর্টার//সময়নিউজবিডি
বিগত আওয়ামী লীগের সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি ভূমিদস্যু চাঁদাবাজ সিন্ডিকেট এর করা একটি মিথ্যা বানোয়াট মামলায় বেকসুর খালাস পেয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া উন্নয়ন ফোরাম এর চেয়ারম্যান সাংবাদিক নেতা আসিফুর রহমান। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদরের উত্তর পৈর তলার ছয় বাড়িয়া গ্রামের মৃত আবদুল জব্বার মিয়ার ছেলে ভূমি দস্যু, চাঁদা বাজ ও বিভিন্ন মামলার এজহার নামীয় আসামী শরীফ মিয়া বিগত ১৪ ই ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ইং সালে সদর থানার ওসি আসলাম খান (বিপি- ৭১৯৭০২৮২৮৮) এবং জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুজ্জামান আরিফের যোগসাজশে আসিফুর রহমানের নামে একটি মিথ্যা বানোয়াট মামলা করে নানা ধরনের প্রোপাগান্ডা ছড়ানো এবং মানহানী করতে থাকে। মামলার এজাহারে বলা হয় তাঁর সাবেক মেজর পরিচয় ব্যবহার করে শরীফ মিয়ার নিকট থেকে তাঁর শহরের আনন্দ বাজারের ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান থেকে ১৬ ষোল লক্ষ্য টাকা ধার হিসাবে গ্রহণ করেন। কিন্তু তদন্তকালে প্রমাণ মেলে, এই প্রতারক শরীফ মিয়ার নিকট আসিফুর রহমানের পাওনা ১৬ ষোল লক্ষ টাকা তাঁর ব্যাংক একাউন্টে বিভিন্ন সময়ে জমা প্রদান করে। পরবর্তীতে চতুর প্রতারক শরীফ মিয়া ততকালীন জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি হেলাল উদ্দিনকে ভুল বুঝিয়ে আসিফুর রহমানের কর্মচারী কসবা উপজেলার গাববাড়ি গ্রামের মৃত আব্দুর রশীদের ছেলে হারুন অর রশীদ, তার স্ত্রী এবং শহরের পশ্চিম পাইকপাড়া বোর্ডিং মাঠের উত্তর দিকের বাসিন্দা পুলিশের সোর্স, মাদক ব্যবসায়ী ও ভূমিদস্যু চাঁদাবাজ জামাল উদ্দিন জয়কে দিয়ে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে মিথ্যা সাক্ষী বানিয়ে সামাজিক শালিশ করে উল্টো আসিফুর রহমানের নিকট টাকা দাবি করেন। কিন্তু বিষয়টি আসিফুর রহমান না মানলে তাঁরা সুকৌশলে ওসি আসলাম খানকে দিয়ে মামলা করে। তদন্তকালে আরো জানা যায়, এই শরীফ মিয়া বিগত সময়ে আসিফুর রহমানকে তার চাচাতো ভাই পরিচয় দিয়ে সামাজিক মান মর্যাদা ব্যবহার করে নানান সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করতো। বিভিন্ন দালিলিক প্রমাণ যাচাই করে জানা যায়, শরীফ মিয়ার ব্যবসায়ীক লেনদেন করে আটকে থাকা প্রায় এক কোটি ত্রিশ লক্ষ টাকা তিনি উদ্ধার করে দেন। মামলার আইও এস আই নাহিদুল ইসলাম (বিপি- ৮৭০৬১২০৬৬৭) কোন প্রকার তদন্ত না করেই শরীফ মিয়ার যোগসাজশে মিথ্যা চার্জশিট প্রদান করেন। মামলাটির বিচারিক আদালত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আদালতে শরীফ মিয়া সহ অন্যান্য সাক্ষীরা মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদান করে। বিষয়টি আসামি পক্ষের আইনজীবীরা চ্যালেন্জ করলে বিজ্ঞ আদালত সাক্ষীদের পুনরায় সাক্ষী দিতে আদেশ প্রদান করেন। কিন্তু পরবর্তীতে কেউই আর সাক্ষী দিতে আসেনি। এস আই নাহিদের সাক্ষ্য প্রদান কালে আসামি পক্ষের আইনজীবী সিনিয়র এডভোকেট আবিদ উল্লাহর জেরার মুখে আসল ঘটনা উন্মোচন হয়ে যায়। পরবর্তীতে বিচারক মামলার আরগুমেন্ট শেষ করে রায়ের দিন ধার্য করেন। বিগত ১১ ই ডিসেম্বর ২০২৫ ইং তারিখে বিজ্ঞ আদালত আসিফুর রহমানকে সম্মানের সহিত বেকসুর খালাস প্রদান করেন।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply