স্টাফ রিপোর্টার//সময়নিউজবিডি
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা র. আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, ৭ই মার্চের ভাষণ ছিল স্বাধীনতার অনুপ্রেরণার অফুরন্ত উৎস। ৭ মার্চের ভাষণের মধ্যেই বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা অন্তর্নিহিত ছিলো। বঙ্গবন্ধু তার এই ঘোষণার মাধ্যমে মুক্তিকামী বাংলার মানুষকে মুক্তির আকাঙ্খায় জাগিয়ে তুলে ছিলেন। সেই সঙ্গে পশ্চিম পাকিস্তানিদের টনকও নাড়িয়ে দিয়ে ছিলেন তিনি। এ ভাষণের মধ্যে আমাদের স্বাধীনতার সুস্পষ্ট দিক নির্দেশনা ছিল। মাত্র ১৮ মিনিটের কালজয়ী ভাষণে রচিত হয় একটি ইতিহাস।
শনিবার (০৭ মার্চ) বিকেল ৪টায় ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ পৌর মিলনায়তনে জেলা প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মোকতাদির চৌধুরী এমপি আরো বলেন, ৭ মার্চের ভাষণটি ধর্ম-বর্ণ-বয়স-লিঙ্গ নির্বিশেষে সব বাঙালিকে জয় বাংলার সৈনিকে রূপান্তরিত করে ছিল। বাঙালিকে এমন মন্ত্রে উজ্জীবিত করেছিল এই ভাষণ, যে তার পক্ষে যুদ্ধ ও স্বাধীনতা এবং ত্যাগ ও বীরত্বের বাহিরে আর কোনো বিষয় নিয়ে ভাবা সম্ভব ছিল না।একটি ভাষণ পুরো জাতিকে এক ধ্যানে মহান ব্রতে উদ্দীপ্ত করেছিল। নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধে জয় বাংলা ছিল রণধ্বনি, মুজিব ছিলেন মহানায়ক আর ৭ই মার্চের ভাষণ ছিল স্বাধীনতার অনুপ্রেরণার অফুরন্ত উৎস।
জেলা প্রশাসক হায়াত উদ-দৌলা খাঁন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি মিসেস নায়ার কবির, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও সাবেক পৌর চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পঙ্কজ বড়ুয়া, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মশিউজ্জামান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়াহিদ খান লাভলু, জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি মুজিবুর রহমান বাবুল, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক গোলাম মহিউদ্দিন খান খোকন, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ মুসলিম মিয়া সহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাগন।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply