সংবাদ শিরোনাম
প্রকৃতির প্রতিরোধে তিতাস পূর্বাঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ চরমে!

প্রকৃতির প্রতিরোধে তিতাস পূর্বাঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ চরমে!

বিশেষ প্রতিবেদক//সময়নিউজবিডি 

প্রকৃতিও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার তিতাস পূর্বাঞ্চলকে (বিজয়নগর উপজেলাবাসী) বঞ্চিত করেছে অবহেলিত করেছে, প্রকৃতি সৎ ভাই সুলভ আচরণ করছে। 
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের সাথে বছরজুড়ে বিজয়নগর উপজেলা থেকে নৌকা চললেও বর্ষার মৌসুমে নৌকা বাহন হয় গুরুত্বপূর্ণ,কম সময়ের,কম টাকায় আসার একটি বাহক এবং জরুরী প্রয়োজনীয়। কয়েকটি ইউনিয়নবাসী শুধু নৌ পথে জেলা শহরের সাথে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম। 
বিজয়নগর উপজেলার চরইসলামপুর ইউনিযনের বিভিন্ন স্থান থেকে,চম্পকনগর ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থান থেকে,সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থান থেকে,পত্তন ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিমুহূর্ত নৌ পথে দিয়ে ছোট বড় নৌকা যোগে আনন্দবাজার নৌকা ঘাটে গিয়ে ভিড়ে সব নৌকা।এছারাও উপজেলার বাকি প্রতি ইউনিয়ন থেকেই দৈনিক নৌকা এসে বিভিন্ন বাজারের মালামাল পাইকারি কিনে নিয়ে যায়।
এছাড়াও সরাইল, নাসিরনগর, আখাউড়া উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে বর্ষার মৌসুমে নৌকা যোগে মানুষের যাতায়াত লক্ষ্য করার মত।সেই সব উপজেলার বিভিন্ন বাজারের জন্য পন্য পরিবহণ নৌকা যোগেই করে সারা বছর করতে দেখা যায়।
দুঃখের বিষয় হল প্রাকৃতিক ভাবে তিতাস নদীতে প্রচুর পরিমান কচুরিপানা দিয়ে আনন্দবাজার নৌকা ঘাট ও তার আশেপাশের  অনেক এলাকায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে যে কয়েক কিলোমিটার আসতে যে শ্রম ব্যয় করতে হয়, ইঞ্জিনের ক্ষতি ও তেল খরচ হয় তা থেকে কয়েক গুন বেশী শুধু আনন্দবাজার নৌকাঘাটে নৌকা ভিড়াতে খরচ করতে হয়। এতে মাঝিরা ক্লান্ত হয়ে পরে। ইঞ্জিন অটোমেটিক বন্ধ হয়ে যায়। ইঞ্জিনের পাঁকা কচুরিপানায় আটকিয়ে যায়। অনেক সময় নিরুপায় হয়ে যাত্রীরাও মাঝির সহযোগী হতে হয়।
এই সব বিষয়ে কোন দপ্তরের কারো নজর দিতে কখনো দেখা যায়নি।এমন কি কোন জনপ্রতিনিধি জনগনের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে উদ্যোগী হতে দেখা যায়নি।
কখনো কখনো কচুরিপানা দ্বারা এমন প্রতিবন্ধকতার কারণে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার খবরও পাওয়া যায়। যার কারণে প্রাণহানি, অনেক আহত ও ব্যাপক ভাবে আর্থিক ক্ষতি সাধন হয়। 
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে আনন্দ বাজার নৌকা ঘাট থেকে মনিপুরের উদ্দেশ্যে যাওয়া মুফতি রেদুওয়ানুল বারী সিরাজী নামের এক যাত্রী জানান, জেলা শহর থেকে বিজয়নগর নৌকা যোগে যাতায়াত অসাধারণ উপভোগের একটি মাধ্যম, অপর দিকে সময় ও অর্থ সেইভ হয়। তবে আনন্দবাজার নৌকাঘাটে প্রবেশ ও বাহিরের সময় কচুরিপানার জন্য অনেক বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। এতে জনজীবন ও পণ্যসামগ্রীর অনেক ঝুঁকিও রয়েছে। প্রশাসন একটু নজর দিয়ে নির্বিঘ্নে নৌকা যাতায়াতের ব্যবস্থা করলে অনেক মানুষ উপকৃত হতো।
চম্পকনগর নৌকাঘাটের শাহিদ মাঝি বলেন, প্রতিদিন কয়েকবার আসা যাওয়া করি। আনন্দবাজার নৌকা ঘাটের তিতাস নদীতে থাকা কুচুরিপেনার এ ঝটলার কারনে খুব কষ্ট হয়। অনেক পরিশ্রম করতে হয়, অতিরিক্ত তেল খরচ হয়। অনেক সময় নৌকার পাঙ্খা ভেঙ্গে যায়।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর। 

সংবাদটি পছন্দ হলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Somoynewsbd24.Com