সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে মামলার সুষ্ট বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক গৃহবধূ।
রবিবার (১১ অক্টোবর) সরাইল উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবী জানান উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের শফিকের স্ত্রী নার্গিস আক্তার ।
সংবাদ সম্মেলনে নার্গিস আক্তার বলেন, তার স্বামী শফিক ২য় বিবাহ করার কিছুদিন পর চিকিৎসার কথা বলে কৌশলে তার ১৯ মাস বয়সী মেয়ে প্রহেলা শালিনা আক্তার নুসরাতকে অজ্ঞাতস্থানে লুকাইয়া রেখে তাকে খুঁন গুম ও অপহরণ করতে পারে সন্দেহে গত ২০১৭ সালের ৩০ আগষ্ট মামলা দায়ের করেন শালিনার মা। সংবাদ সম্মেলনে শালিনার মা দায়েরকৃত মামলার সুষ্ট বিচার চেয়ে আরো বলেন, তার স্বামী শফিক মামলা তুলে নেয়ার জন্য অরুয়াইলের সাহের উদ্দিন, শালিনার নানি মাজেদা বেগম ও মামা আমির হোসনকে নিয়ে টাকার লোভ দেখিয়ে মামলা তুলে নেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করছে।
এদিকে, শালিনার মা আরো বলেন, গত কুরবানী ঈদের পর কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম উপজেলার আলীনগর গ্রামের আব্দুল্লাহ শিশু প্রহেলা শালিনা আক্তারের সন্ধান দেয়। পরে সরাইল থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত মোঃ শফিকুল ইসলামকে বিষয়টি অবগত করলে তিনি কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম উপজেলার আলীনগর গ্রামের পিঠা, চা বিক্রেতা বাবুলের নিকট থেকে শিশু প্রহেলা শালিনা আক্তারকে উদ্ধার করে বাবুল ও আব্দুল্লাহকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেন।
শিশু প্রহেলা শালিনা আক্তারের উদ্ধারের পর পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে বাবুল ও আব্দুল্লাহ জানায়, গত ২০১৭ সালে আগষ্ট মাসে দেড় বছরের শিশু প্রহেলা শালিনা আক্তারকে নৌকার মাঝি আব্দুল্লাহর স্ত্রী পিঠা বিক্রেতা রিনু বেগমের নিকট রেখে যায়। রিনু বেগম থেকে রহিম আলামিন পিঠা চা বিক্রেতা বাবুলের নিকট ৪০০ টাকার ষ্টাম্পে শিশুটিকে বিক্রয় করে দেয়। পরে বাবুল তার শ্বশুর বাড়িতে শিশু শালিনাকে পাঠিয়ে দেয়। পরে বাবুল আশুগঞ্জ থেকে নিজ গ্রাম অষ্টগ্রামের আলীনগর চলে যায় ঐখানে গিয়ে বাবুল আবার পিঠা ও চা বিক্রয় শুরু করে প্রহেলা শালিনা আক্তারের দিয়ে ভিক্ষা ব্যাবসা শুরু করে। আব্দুল্লাহর স্ত্রী রিনু বেগম জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে তার স্বমীকে দিয়ে ভাল কাজ করার মানসে শিশু প্রহেলা শালিনা আক্তারের সন্ধান দেয়।
এ বিষয়ে সরাইল থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত ও অপহরণ মামলা তদন্ত কর্মকর্তা মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম উপজেলার আলীনগর গ্রামের পিঠা,চা বিক্রেতা বাবুলের নিকট থেকে শিশু প্রহেলা শালিনা আক্তারকে উদ্ধার করে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পিতা ও মাতাকে বলা হলে পিতা শফিক ডিএনএ পরীক্ষা করতে রাজি না হওয়ায় আদালতের মাধ্যমে ডিএনএ জন্য আবেদন করা হয়েছে। পরে শফিক ডিএনএ পরীক্ষার জন্য সময় চেয়ে আদালতে আবেদন করে সময় নিয়েছে। বর্তমানে শিশু প্রহেলা শালিনা আক্তারকে চট্টগ্রাম রৌফাবাদ সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ তত্ত্বাবধায়কের হেফাজতে রয়েছেন।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply