স্টাফ রিপোর্টার//সময়নিউজবিডি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৌরসভার অনুমতি ও বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই শহরের কালাইশ্রীপাড়া গুরুচরণ রায়ের আখড়া বাড়ির দেবোত্তর সম্পত্তিতে অবৈধভাবে ইমারত নির্মান করছেন দিলীপ সাহা নামে এক প্রভাবশালী। এ ঘটনায় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযোগকারীরা জানান, একটি প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় মন্দিরের সেবাইয়েতের ছেলেকে ম্যানেজ করে প্রভাবশালী দিলীপ সাহা গুরুচরন রায়ের আখড়া বাড়ির পশ্চিমাংশে দেবোত্তর সম্পত্তিতে অবৈধভাবে ইমারত (পাকাস্থাপনা) নির্মান করছেন।
এ ঘটনায় বিক্ষুব্দ এলাকাবাসী মন্দিরের জায়গা থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে আবেদন করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে দেয়া অভিযোগে বলা হয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার কালাইশ্রীপাড়ার শ্রী শ্রী গুরুচরণ রায়ের আখড়া বাড়ির সেবায়েত অনিল চন্দ্র রায়ের অসুস্থ্যতার কারনে তার ছেলে জীব উৎস রায় (টেন্টু) মন্দিরের ভূ-সম্পত্তি দেখাশোনা করে আসছেন।
এই সুযোগে টেন্টু বিপুল পরিমান অর্থের বিনিময়ে দেবোত্তর সম্পত্তির কিছু অংশ প্রভাবশালীদের কাছে হস্তান্তর করেছেন। প্রভাবশালীরা টেন্টুকে ম্যানেজ করে মন্দিরের জায়গায় পাকা স্থাপনা নির্মান করেছেন। বর্তমানে প্রভাবশালী দিলীপ সাহা গুরুচরন রায়ের আখড়া বাড়ির পশ্চিমাংশের পেছনে পৌর সভার কোন প্রকার অনুমতি ছাড়াই ইমারত নির্মান করছেন। হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন বিষয়টি টেন্টুকে অবহিত করলেও তিনি সম্পূর্ন নিরব ভূমিকা পালন করছেন।
এ ঘটনায় হিন্দু সম্প্রদায়ের ক্ষুব্দ লোকজন অবিলম্বে অবৈধ ইমরাতটি উচ্ছেদ করার জন্য সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত দিলীপ সাহা সাংবাদিকদের জানান, তার মাসি সেবায়েত অনিল চন্দ্র সাহার বাড়িতে কাজ করার সুবাদে অনিল চন্দ্র সাহা তার মাসিকে সাদা কাগজে মন্দিরের জায়গায় থাকার অনুমতি দেন। এই কাগজের অনুমতির উপর ভিত্তি করেই তিনি পাকাস্থাপনা (ইমারত) নির্মান করছেন। তিনি তার কাছে জায়গার কোন বৈধ বা রেজিষ্ট্রিকৃত কাগজপত্র নেই বলে স্বীকার করেন।
এ ব্যাপারে শ্রীশ্রী গুরুচরণ রায়ের আখড়া বাড়ির সেবায়েত অনিল চন্দ্র রায়ের ছেলে জীব উৎস রায় (টেন্টু) বলেন, ইমারত নির্মানে দিলীপ সাহা
কে বাঁধা দেয়া হয়েছে। তিনি বঁাধা অমান্য করেই ইমারত নির্মান করছেন। দিলীপ সাহা প্রভাবশালী হওয়ায় তিনি নিজের নিরাপত্তা নিয়ে শংকিত আছেন।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ বড়–য়া বলেন, মন্দিরের জায়গায় অবৈধভাবে ইমারত নির্মানের ব্যাপারে অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যত বড় প্রভাবশালী হোক না কেন কেউ “দেবোত্তর সম্পত্তির উপর পাকা এবং স্থায়ী স্থাপনা নির্মান করতে পারবে না। প্রয়োজনে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সহকারি প্রকৌশলী মোঃ কাউছার আহমেদ জানান, ইমারত নির্মানের ব্যাপারে কেউ পৌরসভা থেকে অনুমতি নেয়নি। পৌরসভার অনুমতি ছাড়া পাকা স্থাপনা নির্মান করতে পারবে না। আমরা আইনগত পদক্ষেপ গ্রহন করবো।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply