স্টাফ রিপোর্টার//সময়নিউজবিডি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বীরগঁাও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির আহমেদকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ ও তার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করেছেন তার ছোটভাই এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এইচ.এম. আল আমিন আহমেদ।
বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই দাবি করে তিনি তার ভাইকে ‘ষড়যন্ত্রমূলক হত্যা মামলা’ থেকে অব্যাহতি দেয়ার দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে আল আমিনের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বীরগাঁও ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল মান্নান।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, লিখিত বক্তব্যে আবদুল মান্নান বলেন, নবীনগর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের থানাকান্দি, গৌরনগর, সাতঘরহাটি ও উত্তর লক্ষ্মীপুর গ্রামে প্রায় তিন যুগেরও বেশি সময় ধরে গ্রাম্য ও গোষ্ঠিগত আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘাত লেগে আছে। এরই জের ধরে গত ১২ এপ্রিল থানাকান্দি গ্রামের মোবারক হোসেন নামে এক ব্যক্তির পা কেটে নিয়ে নগ্ন উল্লাস করে প্রতিপক্ষের লোকজন। পরবর্তীতে মোবারক মারা যান।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, নবীনগর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান, বীরগঁাও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের স্থগিত কমিটির সভাপতি হোসেন সরকার ও সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন নবীনগরের বর্তমান সাংসদের প্রভাব খাটিয়ে বীরগঁাও ইউনিয়নের বাইশমৌজা বাজার দখল এবং আশুগঞ্জ-নবীনগর রাস্তার কাজ ভাগ-বাটায়োরা করতে মরিয়া হয়ে উঠেন। কিন্তু তাদের এসব অপকর্মের পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়ান চেয়ারম্যান কবির। তাই তাদের রাজনৈতিক প্রভাব-প্রতিপত্তিকে আরও মজবুত করতে চেয়ারম্যান কবির ও তার অপর ভাই জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক এস. এম. আলমগীরকে হত্যা মামলার আসামি করা হয়।
তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডের দিন করোনাভাইরাসের প্রভাবে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষদের মাঝে সরকারি ত্রাণ সহায়তা বিতরণের জন্য বীরগঁাও ইউনিয়নের নিজ গ্রামে অবস্থান করেছিলেন চেয়ারম্যান কবির। আলমগীরও তার নিজ বাসা ও ব্যবসার স্থান আশুগঞ্জ উপজেলায় ছিলেন। কিন্তু হত্যা মামলায় চেয়ারম্যান কবির ও তার ভাই আলমগীরকে আসামি করা হয়েছে।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশের করা মামলার কথা উল্লেখ করে আবদুল মান্নান আরও বলেন, হত্যকাণ্ডের পরদিন নবীনগর থানা পুলিশ বাদি হয়ে দুই পক্ষের দলনেতাকে ১ ও ২ নম্বর আসামি করে ১০৬ জন এবং অজ্ঞাত আরও ৭০০/৮০০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে। ওই মামলার এজহারে চেয়ারম্যান কবির ও তার ভাই আলমগীরের নাম নেই। এছাড়া মৃত্যুর আগে মোবারক তার উপর হামলাকারীদের নাম বলে গেছেন, সেখানেও কবির ও আলমগীরের নাম নেই। তবু ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় চেয়ারম্যান কবির ও তার ভাই আলমগীরকে মামলায় আসামী করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করে কারান্তরীণ ইউপি চেয়ারম্যান কবির আহমেদের মুক্তির পাশাপাশি মামলা থেকে তাকে ও তার ভাই আলমগীরকে অব্যাহিত দেওয়ার দাবি জানান।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply