সংবাদ শিরোনাম
নবীনগরে পুকুর থেকে অজ্ঞাত শিশুর মরদেহ উদ্ধার কমলগঞ্জে ‘পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেস’ নানা কর্মসূচিতে কমলগঞ্জে গুড নেইবারস এর পরিচ্ছন্নতা অভিযান ঢাকাস্থ চম্পকনগর ইউনিয়ন সমিতি গঠনের লক্ষ্যে পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত কমলগঞ্জে ৬ দফা দাবিতে স্বাস্থ্য সহকারীদের দুই ঘন্টা অবস্থান কর্মসূচি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিটিজেএ সভাপতিরসহ পরপর তিন টিভি সাংবাদিকের মোটরসাইকেল চুরি কমলগঞ্জে স্কাউটের ব কাব কার্নিভাল ২০২৫ কমলগঞ্জে অভিভাবক -ছাত্র -শিক্ষক সমন্বয় সভা লালমনিরহাটে ধর্ম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে বাবা-ছেলে আটক বিজয়নগরে পুকুর দখলকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষ।। আহত- ৭।। একজনে হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন
মামলাবাজ চক্রের খপ্পড়ে পড়ে দুর্বিষহ শিক্ষকের জীবন

মামলাবাজ চক্রের খপ্পড়ে পড়ে দুর্বিষহ শিক্ষকের জীবন

স্টাফ রিপোর্টার//সময়নিউজবিডি 

মামলাবাজ চক্রের’ খপ্পড়ে পড়ে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে এক কলেজ শিক্ষক ও তঁার পরিবারের সদস্যদের জীবন। কখনও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় না এসেও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে হওয়া একটি মানবপাচার মামলার আসামি হয়েছেন ঢাকার শেখ বোরহানুদ্দীন পোস্ট গ্রাজুয়েট কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মোহা. বদরুল ইসলাম। অবশ্য ওই মামলার বাদিরও কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। আদৌ বাদির অস্তিত্ব আছে কি-না সেটি নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগী কলেজ শিক্ষক বদরুল ইসলাম।মঙ্গলবার বেলা ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে ‘সাজানো মামলার’ কারণে নিজের দুর্বিষহ জীবনের বর্ণনা দিয়েছেন ওই শিক্ষক।লিখিত বক্তব্যে শিক্ষক বদরুল ইসলাম বলেন, গত ১৮ নভেম্বর আমি জানতে পারি কুলছুমা আকতার নামে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এক নারী আমাকে প্রধান আসামি করে পঁাচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই মামলার আর্জিতে বলা হয়, আমিসহ অন্যান্য আসামিরা বাদিনীকে মালদ্বীপ পাঠানোর কথা বলে ভারতে পাচার করে দেই। পরবর্তীতে গত ২৪ মার্চ বাদিনী ভারত থেকে ফিরে আসেন এবং পঁাচ মাস পর গত ২০ আগস্ট আমার বিরুদ্ধে মানবপাচার মামলাটি দায়ের করেন। পরবর্তীতে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-৩য় আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকি-আল-ফারাবী মামলার স্বাক্ষীদের জবানবন্দি নিয়ে তিনি নিজেই আমিসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে মানবপাচারের অভিযোগ সত্যতা পাওয়া গেছে বলে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন।তিনি বলেন, মামলার বাদিনী ও আসামিদের কাউকেই আমি চিনি না। আমি জীবনে কখনও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসিনি। মামলায় কিছু তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে। ওইসব তারিখে নাকি আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এসে বাদিনীর সঙ্গে দেখা করেছি এবং তাকে নিয়ে ভারত সীমান্তে গিয়েছি। ওই তারিখ গুলোর মধ্যে গত বছরের ৮ নভেম্বর ও চলতি বছরের ১০ জানুয়ারী আমি আমাদের কলেজ ক্যাম্পাসে অবস্থিত বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টাডি সেন্টারে বিবিএস ও বিবিএ প্রোগ্রামের টিউটর হিসেবে ক্লাস নিয়েছি।তিনি আরও বলেন, প্রশ্ন উঠতে পারে আমি যদি উল্লিখিত ঘটনায় জড়িত না থাকি- তাহলে কীভাবে মামলা দায়ের হতে পারে। এই প্রসঙ্গে আমি আমার একটা আশঙ্কার কথা বলতে চাই। সেটি হলো- আমাদের কলেজের শিক্ষক আবু নাঈম মো. রাফি, নুরুন্নাহার বেগম, বাদল চন্দ্র অপু শিক্ষক প্রতিনিধি হিসেবে গভর্নিং বডিতে দায়িত্ব পালন করেন। দায়িত্ব পালনকালে তারা কলেজের নামে জমি কেনাসহ বিভিন্ন ধরনের কেনাকাটা ও আর্থিক কর্মকাণ্ড করেন। এই নিয়ে কলেজের বড় ধরনের আন্দোলন গড়ে উঠে। কলেজের অর্থ অপচয়ের বিষয়ে আমিসহ অন্যান্য শিক্ষকরা প্রতিবাদ করি। সে জন্য ওই তিন শিক্ষক আমার উপর ক্ষুব্ধ ছিল। কলেজ ক্যাম্পাসে আমাকে উদ্দেশ্য করে ঘোষণা দেয়া হয়েছিল- আমার ঘুম হারাম করে দেয়া হবে। মিথ্যা মানবপাচারের মামলার কারণে সত্যি সত্যি এখন আমার ও আমার পরিবারের সদস্যদের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। মামলার কারণে আমি কিছুদিন বাড়িতেও থাকতে পারিনি।সহযোগি অধ্যাপক মোহা. বদরুল ইসলাম আরও বলেন, মানবপাচারের মতো চাঞ্চল্যকর বিষয়ে কাল্পনিক অভিযোগ এনে মিথ্যা মামলা দায়েরের কারণে আমি সামাজিক ও মানসিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। আমার ও আমার পরিবরের সদস্যদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। মামলায় উল্লেখিত ঘটনার সাথে আমার দূরতম কোনো সম্পর্ক নেই। আমি এখন আশঙ্কা করছি মামলাবাজ চক্রটি আমার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধেও মিথ্যা মামলা দিতে পারে। আমি এই মিথ্যা মামলা থেকে মুক্তি চাই, পরিবার নিয়ে শান্তিতে বাঁচতে চাই।সংবাদ সম্মেলনে শেখ বোরহানুদ্দীন পোস্ট গ্রাজুয়েট কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মোহা. বদরুল ইসলামের সঙ্গে তার স্ত্রী ও দুই সন্তান উপস্থিত ছিলেন।

ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর। 

সংবাদটি পছন্দ হলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Somoynewsbd24.Com