হাদিস শরিফে এরশাদ হয়েছে প্রত্যেক (আমল) এবাদতের সওয়াব নিয়তের উপর নির্ভরশীল(বুখারী শরিফ)। নিয়তের আভিধানিক অর্থ হচ্ছে কোন বিষয়ে মনে দৃঢ় সংকল্প করা। রোজা যেহেতু গুরুত্বপূর্ণ এক এবাদত তাই ফরজ রোজার ও নিয়ত করা অত্যাবশ্যক। নিয়ত ব্যতীত রোজা হবেনা।
উম্মাহাতুল মু’মিনিন হজরত হাফসা (রা:) বলেছেন, নবী করীম(সা:)এরশাদ করেছেন যে, যে ব্যক্তি ফজরের আগে রোজা রাখার নিয়ত করবেনা তার রোজা পরিপূর্ণ হবেনা।(আবু দাউদ শরিফ)। উক্ত হাদিস পর্যালোচনা করে ই ইসলামী চিন্তাবিদ ও গবেষকরা এই মর্মে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন যে দ্বী-প্রহরের আগেই রোজার নিয়ত করে নিতে হবে। প্রতি রোজার জন্য পৃথক পৃথক নিয়ত করতে হবে।একদিন নিয়ত করে পুরো রমজান মাসের রোজা রাখা যতেষ্ট হবেনা।
নিয়ত মনে মনে করে নিলে ই হয়ে যাবে।রোজার নিয়ত মনেমনে এইভাবে করে নিবে যে, হে আল্লাহ, তুমার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য আগামীকালের ফরজ রোজা রাখার নিয়ত করেছি। অতএব তুমি আমার পক্ষ থেকে তা কবুল কর।নিশ্চয় তুমি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞানী।
রোজা সহীহ শুদ্ধ হবার জন্য নিয়ত আবশ্যক যেহেতু কোন আমল ই নিয়ত ব্যতীত গ্রহণযোগ্য নয় তাই আমাদের সকলকে নিয়ত সহকারে ই রোজা রাখতে হবে। আল্লাহতায়ালা আমাদের সকলকে সহীহ শুদ্ধ ভাবে মাহে রমজানের রোজা রাখার তাওফিক দান করুণ, আমিন।
লেখক–মুফতী মোহাম্মদ এনামুল হাসান, (নাজিমে দারুল ইকামাহ), জামিয়া কোরআনিয়া সৈয়দা সৈয়দুন্নেছা ও কারিগরী শিক্ষালয়, কাজীপাড়া , ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
Leave a Reply