কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের বাসিন্দা ফার্নিচার ব্যবসায়ী আতিকুর রহমান সুমন (২৮) কে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় গুলি করে হত্যা করেছে দূর্বৃত্তরা। সোমবার (০৪ এপ্রিল) ভোর ৫টার দিকে নবীনগর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের বাঘাউড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আতিকুর রহমান সুমন মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ পৌর এলাকার আলেপুর গ্রামের মৃত আবু মিয়ার ছেলে। এদিকে সুমনের গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় কমলগঞ্জের গ্রামের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।
সুমনের মাসহ পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়ছে। নিহত সুমনের বৃদ্ধ মা রহিমা খাতুন ছেলেকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। কান্নাজড়িত কন্ঠে তিনি সুমন হত্যার দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেন।
এদিকে সুমন হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে সুমনের সহযোগি সোহেল মিয়াসহ ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটক সোহেল কমলগঞ্জ পৌর এলাকার আলেপুর গ্রামের ফারুক মিয়ার ছেলে।
নবীনগর থানার ওসি আমিনুর রশীদ জানান, উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের বাঘাউড়া গ্রামের বাজারে সুমনের একটি ফার্নিচারের দোকান আছে। তিনি ওই গ্রামের একটি বাড়িতে বেশ কয়েক বছর ধরে ভাড়া থাকতেন। সোমবার ভোররাতে সেহরি খেয়ে ঘর থেকে বের হওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গেই কে বা কারা তাকে গুলি করে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। ধারণা করা হচ্ছে পরিকল্পিতভাবে তাঁকে খুন করা হয়েছে। জড়িতদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।স্থানীয়রা বলেন, সুমন খুব ভালো ছেলে ছিলেন। গত ৮/১০ বছর ধরে নবীনগর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের বাঘাউড়া গ্রামে বসবাস করে আসছেন তিনি। বাজারে তাঁর একটি ফার্নিচার দোকান আছে। আগের দিন রাতে তাঁর দোকানে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। সোমবার ভোরে তাঁকে গুলি করে হত্যা করে। পার্শ্ববর্তী ব্যবসায়ীরা জানান, প্রথম রোজার সেহরির পর তাঁর দোকানে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এরপর সোমবার ভোরে তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় আতঙ্কে রয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
কমলগঞ্জ পৌরসভার ওয়ার্ড কাউন্সিলর জসিম উদ্দিন শাকিল নবীনগর থানা থেকে এ প্রতিনিধিকে জানান, সুমনের মরদেহ নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে নিজ এলাকায় পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় সুমনের সহযোগি সোহেলসহ ৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ আটক করে নবীনগর থানায় নিয়ে এসেছে। পৌর কাউন্সিলর আরো জানান, ময়নাতদন্তে নিহত সুমনের শরীরে বন্ধুকের গুলি নয় বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply