এবার বাজেটের আকার হবে পাঁচ লাখ কোটি টাকার উপরে। একই সঙ্গে আগামী পাঁচ বছর কোনো পণ্যে ট্যাক্স রেট বাড়বে না বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) শেরেবাংলা নগরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পরামর্শক কমিটির ৪০তম সভায় মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
ট্যাক্স প্রসঙ্গে মুস্তফা কামাল বলেন, আমি বলতে পারি আগামী পাঁচ বছরে কোনো বিষয়ে ট্যাক্স রেট বাড়বে না। বরং সামনে সব বিষয়ে ট্যাক্স রেট কমবে। তবে ট্যাক্সের আওতা বাড়বে। দ্বৈত কর পরিহার করা হবে। এবারের আয়কর হবে হয়রানি মুক্ত।
২০১৯-২০২০ সালের জাতীয় বাজেট প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, এবার বাজেটে ব্যাপক সংস্কার আসছে। সংস্কার করলেও অনেকে বলছেন অর্থমন্ত্রী কোনো ক্ষমতা বলে ঋণখেলাপিদের ক্ষমা করে দেবেন। আমি ক্ষমাও করবো না আবার জেলেও দেবো না। ব্যাংকিংসহ নানা খাতে বাজেটে এবার সংস্কার করবো।’
মন্ত্রী বলেন, বাজেটে প্রথমেই বলবো সামর্থ্যবানরা সবাই করের আওতায় আসবে। একটা অভিযোগ সব সময় থাকে, যারা ট্যাক্স দেয় বেশি বেশি দেয় অথচ যারা দেয় না তারা কিছুই দেয় না। এটা আর হবে না। সামর্থ্য যাদের আছে তারা সবাই ট্যাক্স দেবে। কর আদায় করেই ছাড়বো। তবে কাউকে কষ্ট দিয়ে ট্যাক্স আদায় করবো না। সবাইকে ভালোবেসে কষ্ট না দিয়ে ট্যাক্স আদায় করবো। হাঁসের শরীর থেকে পালক তুলবো ঠিকই যেন হাঁস টের না পায়।
‘এবার এমনভাবে বাজেট ঘোষণা করবো, যাতে বাজেট সব মানুষের জন্য হয়। বাজেটে এক বছরের আয়-ব্যয় থাকবে কিন্তু বাজেটের ভিত হবে ২০৪১ সাল। ২০৪১ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যার হাত ধরে বাংলাদেশ উন্নত দেশ হবে। আমার সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। সব চ্যালেঞ্জ আমি চলার পথের পাথেয় মনে করি। এক একটা চ্যালেঞ্জ আমাদের নতুন নতুন পথ দেখাবে। বিশ্বাস ও সততা দিয়ে দেশকে আমরা এগিয়ে নিতে চাই।’
ব্যবসায়ীদের হাসির ছলে অর্থমন্ত্রী বলেন, আপনারা আর কত খাবেন? এর আগে গরিব থাকার কারণে খেতে পারেননি, এখন হজমশক্তি কমে যাওয়ার কারণে খেতে পারছেন না। বেশি বেশি দাবির কথা বললে কয়টা মওকুফ করা যায়। দেশের উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে চাহিদাও বাড়ছে। বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়নে আমাদের বেশি বেশি বরাদ্দ দরকার।
মন্ত্রী আরো বলেন, আমার মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ নম্বর থাকবে। ২৪ ঘণ্টাই এই নম্বরে আমাকে অভিযোগ জানাতে পারবে।
সবার উদ্দেশ্যে মুস্তফা কামাল বলেন, আপনারা ঘুষ খাবেন না। যে ঘুষ খায় তাকে পরিহার করুন। ঘুষ দেওয়া ও নেওয়া সমান অপরাধ। দেশের কল্যাণে দেশের মানুষের কল্যাণে আপনারা সততা নিয়ে ব্যবসা করুন।
এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান (সিনিয়র সচিব) মেশাররফ হোসেন ভূঁইয়া প্রমুখ।
Leave a Reply