ওখানে যখন আম্পান ঘূর্ণিবায়ু,
এখানে তখন বইছে লঘু বায়ু, ইলশেগুড়ি ঝিরিঝিরি বাদল ধারায় কাটা ধানের মাঠের ক্ষেতে রাখালগরুর ওপোস পেট ভরাচ্ছে।
ওখানে যখন মরণনৃত্য চলছে, প্রলয়নাচনে কম্পিত হচ্ছেউপকূলীয় জীবন আর প্রকৃতি;এখানে তখন বিলের ধারেরহেলেঞ্চাগুলো মাথা দুলাচ্ছে, কচুরিপানার সদ্য ফোটা সাদা-বেগুনী আভা ফুলের চকিত দুলানি চলছে।
ওখানে যখন বাতাসের তীব্র গতিময়তায় ঘর-বাড়ি উড়ে যাচ্ছে, বানের জলে গবাদিপশু আর ফসলেরাভেসে গেছে, এখানে তখন বৃষ্টি কাদায় জনজীবন বিপন্ন হচ্ছে, কেবলই নিত্য কাজগুলো ব্যাহত হচ্ছে।
ওখানে যখন জীবন যুদ্ধে বাঁচার সংগ্রাম চলছে প্রতিটি ক্ষণে, টিকে থাকাটাই দুর্বহ কষ্টকর কঠিন,এখানে তখন কেবলই শিক্ষালয়ে পাঠ চুকেছে; হাটের বেঁচা-কেনা কমেছে।
ওখানে যখন বাতাসের ঘূর্ণিপাকে গাছের পর গাছ চূর্ণবিচূর্ণ হচ্ছে; এখানে তখন গাছের পাতা, শাখাগুলো দুল খাচ্ছে; নারিকেল গাছের আকাশ চিরে উঠে আসা ডালগুলোয় আচমকা উন্মত্ততা চলছে।
ওখানে যখন সবুজের পর সবুজ হাজার হাজার ঘনফুট পানির নীচে তলিয়ে যাচ্ছে; এখানে তখন অল্প পানিতে সবুজেরা মাথা তোলে দাঁড়াচ্ছে।
ওখানে যখন ঘন কালো মেঘাচ্ছন্ন আকাশ ভেঙ্গে মাটিতে পড়ছে, আকাশে বীভৎস্য তান্ডবলীলা চলছে; এখানে তখন আকাশে মেঘের ভেলা ভেসে বেড়াচ্ছে, হাঠাৎ হঠাৎ বৃষ্টি হয়ে মাটিতে পড়ছে।
ওখানে যখন মহাবিপদ সংকেতআশ্রয়কেন্দ্র, তিনটি লাল নিশান, এখানে তখন এগুলো কেবলই রেডিও, টিভিতে শুনা সংবাদ।
বিজয়নগর,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
২০/০৫/২০২০রাত ৮.০০ টায়
Leave a Reply