স্টাফ রিপোর্টার//সময়নিউজবিডি
এইচ.এস.সি পরীক্ষা নিয়ে অনিশ্চয়তা দূর করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
করোনা ভাইরাসের মধ্যেই যদি পরীক্ষা নেয়া হয় তাহলে যেন স্বাস্থ্যবিধি, প্রস্তুতি নেয়ার সময়সহ সব দিক বিবেচনা করা হয়। তবে সব কিছু স্বাভাবিক হলে পরীক্ষা নেয়াটাই শ্রেয় বলে মনে করেন তারা।
কয়েকজন শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলে অনেকটা মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে। অনেকেই বলছেন করোনা ভাইরাসের মধ্যে কোনোভাবেই পরীক্ষা নেয়া সম্ভব নয়। এমনও হতে পারে কোনো পরীক্ষাথর্ী কিংবা তার পরিবারের কেউ করোনায় আক্রান্ত। এ অবস্থায় ওই শিক্ষাথর্ীর পক্ষে পরীক্ষায় অংশ নেয়া কোনোভাবেই সম্ভব না। গণপরিবহন ব্যবহারসহ নানা জটিলতায় কোনো পরীক্ষার্থী আক্রান্ত হলে এক্ষেত্রে তার কি অবস্থা হবে।
আবার অনেকেই বলছেন, এখনই পরীক্ষা না হলে তাদেরকে পিছিয়ে পড়তে হবে। চাকরিক্ষেত্রে বয়সজনিত ‘জটিলতায়’ পড়বে হবে। অনেকে দাবি করেন, হাতে বেশ সময় নিয়ে পরীক্ষার রুটিন দেয়া হোক।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এইচ.এস.সি পরীক্ষার্থী সালওয়ার তাহসিন অধরা ও তার মা নাজমুন নাহার ভাইরাসে আক্রান্ত হন। অধরা বর্তমানে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। মা নাজমুন নাহার এখনো পুরোপুরি সুস্থ নন। পরিবারসহ স্বজনরা এসব নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তার মধ্যেই আছেন।
মা নাজমুন নাহার বলেন, এইচএসসি পরীক্ষার্থী অধরা পড়তে পড়তে একপ্রকার বিরক্ত! একই পড়া বারবার আর কত পড়া যায়- মায়ের কাছে প্রশ্ন তার।
তবে মা, মেয়ে দু’জনেরই দাবি খুব দ্রুতই এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে অনিশ্চয়তা দূর করা হোক। করোনার মধ্যেই পরীক্ষা যদি নেয়া হয় তাহলে যেন স্বাস্থ্যবিধি, প্রস্তুতি নেয়ার সময়সহ সব দিক বিবেচনা করা হয়। তবে সব কিছু স্বাভাবিক হলে পরীক্ষা নেয়াটাই শ্রেয় বলে মনে করেন তারা।
নাজমুন নাহার ও অধরার মতো ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আরো অনেক অভিভাবক ও পরীক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে আছেন। করোনার মধ্যে পরীক্ষা নেয়া না নেয়ার পক্ষে বিপক্ষে নানা ধরণের যুক্তি তুলে ধরেছেন। সংশ্লিষ্টদের প্রতি বিভিন্ন ধরণের পরামর্শের কথাও তারা উল্লেখ করেছেন।
এদিকে এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বেশ আলোচনা চলছে। ‘করোনার মধ্যে এইচএসসি নয়’ নামে একটি গ্রুপ খুলে করোনার মধ্যে পরীক্ষা না নেয়ার বিষয়ে অনেকেই যুক্তি তুলে ধরছেন।
খেলাঘর আসর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাধারন সম্পাদক নীহার রঞ্জন সরকার জানান, তার ভাগ্নি এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিবে। কিন্তু করোনা সবকিছু এলোমেলো করে দিয়েছে। প্রস্তুতি ভালো থাকলেও এখন সে জায়গায় যেতে একটু সময়ে লাগবে। তিনি বলেন, এইচএসসি পরীক্ষা নেয়ার আগে প্রতি বেঞ্চে একজন করে শিক্ষাথর্ী, দুই ফুট দূরত্বে বেঞ্চ বসানো, মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করা, কেন্দ্রে নির্বিঘ্নে পৌঁছানো নিশ্চিত করতে হবে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক মনির হোসেন বলেন, ‘পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষাথর্ী ও তঁাদের অভিভাবকরা এখন উদ্বিগ্ন আছেন। আমি মনে করি এখনই তঁাদের মাঝ থেকে অনিশ্চয়তা দূর করতে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
চিনাইর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব অনার্স কলেজের উপাধ্যক্ষ এ কে এম শিবলী বলেন, ‘এইচএসসি পরীক্ষাথর্ীরা প্রস্তুতি প্রায় শেষ করে ফেলেছিল। করোনা পরিস্থিতিতে পরীক্ষা নিতে হলে সরকারকে সব দিক বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply