মাতৃভাষা আল্লাহতায়ালার এক বিশেষ নিয়ামত। ভাষা আল্লাহর শ্রেষ্ঠ দান। মাতৃভাষা চর্চার প্রতি ইসলাম অত্যধিক গুরুত্ব প্রদান করেছে।মাতৃভাষা শিক্ষা ও বিকাশে ইসলামে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ভাষা সম্পর্কে পবিত্র কোরআন শরিফে বলা হয়েছে ” দয়াময় আল্লাহ শিক্ষা দিয়েছন কোরআন, সৃজন করেছেন মানুষ, শিক্ষা দিয়েছেন ভাষা” ( সুরা রহমান, আয়াত, ১-৪)।
আল্লাহতায়ালা বলেন, আমি প্রত্যেক রাসুলকে তার নিজ জাতির মাতৃভাষায় প্রেরণ করেছি (সুরা ইব্রাহিম, আয়াত ৪)। সকল নবী রাসুলগণ ই তাদের মাতৃভাষায় হেদায়াতের আহবান করেছেন। জ্ঞান আহরণের অন্যতম মাধ্যম ই হচ্ছে মাতৃভাষা। রাসুল ( সা:) এর মাতৃভাষা ছিল আরবি। আল্লাহ তায়ালা আরবি ভাষায় কোরআন নাযিল করে মূলত মাতৃভাষার গুরুত্ব বৃদ্ধি করেছেন। ইসলামের দাওয়াত ও প্রচারে মাতৃভাষার গুরুত্ব অপরিসীম। ইসলাম শুধু মাত্র মাতৃভাষার গুরুত্ব ই প্রদান করেন নি বরং বিশুদ্ধ ভাষা ব্যবহারে ও ইসলাম তাগিদ প্রদান করেছে।রাসুল( সা:) মাতৃভাষায় কথা বলতে গর্ববোধ করতেন। তিনি বলতেন, আরবদের মধ্যে আমার ভাষা সর্বাধিক সুফলিত।তোমাদের চাইতে ও আমার ভাষা অধিকতর মার্জিত।
সৃষ্টিকুলের সবকিছু সৃষ্টি ই মহান রাব্বুল আলামিনের বিশেষ নিয়ামত। মাতৃভাষা ও এর ব্যতিক্রম নয়।আল্লাহ্ তায়ালার এক বিশেষ নিয়ামত স্বরুপ মানুষ ভাষা প্রয়োগের ক্ষমতা লাভ করেছে। আল্লাহর অন্যান্য নিয়ামত সমূহের যেমন মূল্যায়ন করা উচিৎ তেমনি ভাষার মতো এক মহান নিয়ামতের ও মূল্যায়ন করা উচিৎ।
মাতৃভাষা চর্চা বা শুদ্ধ ভাবে কথা বলা রাসুল (সা:) এর অন্যতম সুন্নত। তাই আমরা যারা ইসলাম ধর্মে বিশ্বাস করি ধর্মীয় দায়বদ্ধতা থেকে আমাদের সকলকে মাতৃভাষার প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালবাসা পোষণ করার পাশাপাশি শুদ্ধ ভাবে বাংলাভাষার চর্চায় মনোনিবেশ করতে হবে।
লেখক- মুফতী মোহাম্মদ এনামুল হাসান। যুগ্ম সম্পাদক, ইসলামী ঐক্যজোট, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখা।
Leave a Reply