স্টাফ রিপোর্টার//সময়নিউজবিডি
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র. আ.ম.উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষতে স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সকলকে শপথ নিতে হবে। তাহলেই পিতা মুজিবের আদর্শের সৈনিক হিসেবে আমরা নিজেদেরকে দাবী করতে পারবো। আমার সৌভাগ্য যে হিমালয়ের মত যার মন-হৃদয় ও বড় মানুষ জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে খুব কাছ থেকে দেখার। যার আদর- স্নেহ ও মমতা আমি পেয়েছি। বঙ্গবন্ধুর সাথে আমার অনেক স্মৃতি আছে যা বলে শেষ করা যাবে না। বাংলা ভাষাবাসি মানুষদের স্বাধীন রাষ্ট্রের ভিত তৈরী করে দিয়েছেন জাতিরজনক শেখ মুজিবুর রহমান।
বুধবার (১৭ মার্চ) সকালে আলাউদ্দিন খাঁ পৌর মিলনায়তনে জেলা প্রশাসন আয়োজিত জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক হায়াত উদ-দৌলা খাঁন এর সভাপতিত্বে সভায় মোকতাদির চৌধুরী এমপি আরো বলেন, ১৯৭১ সালে ৭ মার্চের বক্তৃতার পর বিশ্ব বিখ্যাত বুদ্ধি ভিত্তিক সাপ্তাহিক পত্রিকা বঙ্গবন্ধুকে “রাজনীতির কবি” হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। বঙ্গবন্ধু হল রাজনীতির কবি, পৃথিবীতে রাজনীতির কবি খুব কম আছে।পৃথিবী বিখ্যাত সাংবাদিক ডেবিট ফস্টার ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধুর সাক্ষাৎকারের সময় প্রশ্ন করেছিলেন’ আপনার শক্তির উৎস কি? মুজিব তখন বললেন ” I Iove my people “আমি জনগণকে ভালোবাসি, এটাই আমার শক্তি”। মানুষকে ভালবাসা একটা বিশাল ব্যাপার। ফস্টার বঙ্গবন্ধুকে আবারও প্রশ্ন করলেন ” আপনার দুর্বলতা কি? বঙ্গবন্ধু বললেন” I love them too much” মানুষের ভালবাসাই ১৯৬৯ সালের গণ অভ্যুত্থানে বঙ্গবন্ধুকে ফাঁসির দড়ি থেকে বাঁচিয়েছিল। জনগণ নিজেদের জীবন বিনিময় স্লোগান দিত” জেলের তালা ভাঙব, শেখ মুজিবকে আনব”। পাকিস্তানের সময় আমাদের মূলত শিক্ষার হার ছিল ৩০% নীচে, বার্ষিক খাদ্য ঘাটতি ছিল ৩৭ লক্ষ মেট্রিক টন, কিন্তু বর্তমানে আমরা খাদ্যে স্ব- নির্ভর। পাকিস্তান মানুষকে বর্ণে, ধর্মে শ্রেণি বিভাজন করত। ধর্মের মধ্যে কে সুন্নী, কে কাদিয়ানী তা বিবেচনা করে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু মানুষকে মানুষ হিসেবে মনে করে। অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে বঙ্গবন্ধু লিখেছেন ” মানুষ নিয়ে আমার যত ভাবনা তা আমার আছে, বাঙালী নিয়ে ভাবনা তা আমার আছে।
উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চে যে স্বাধীনতার ডাক দিয়ছিল তার ফর্মালি বলেছেন ১৯৭১ সালে ২৫ মার্চের গভীর রাতে। বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী পালন করায় তাঁর মহাত্ম বাড়েনি, বরং বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী পালন করে আমি নিজেকে ধন্য মনে করি। যারা বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী পালন করে না তারা কৃতঘ্ন।
বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী সরকারিভাবে পালনের সিদ্ধান্ত যখন জাতির পিতার কন্যা নিয়েছিল, তখন সৌভাগ্যক্রমে আমি তাঁর একান্ত সচিব ছিলাম। তখন এই দিবসটিকে জাতীয় শিশু দিবস করার প্রস্তাব করেছিলাম। কারণ বঙ্গবন্ধু শিশুদের ভালবাসতেন। তিনি জানতেন শিশুরাই জাতির ভবিষ্যত।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি ও দুই বারের সফল পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক পৌর চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার। অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জেলার সকল সরকারি বেসরকারি দপ্তরের প্রধানগণ সহ সর্বস্তরের মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, এর আগে জেলা শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ার এলাকার মুক্তমঞ্চে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি, জেলা প্রশাসক হায়াত উদ-দৌলা খান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমানের নেতৃত্বে জেলা পুলিশ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির, জেলা আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি ও সাধারন সম্পাদক সাবেক পৌর চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ সহ আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের সকল নেতৃবৃন্দ। এসময় জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে গার্ড অব অনার প্রদান করেন পুলিশ সদস্য, আনসার ভিডিপি সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধারা।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply