বছরঘুরে মুসলিম মিল্লাতের মাঝে ফিরে এসেছে আজিমুশ্বান পবিত্র মাহে রমজানুল মোবারক। আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে তার বান্দাহদের প্রতি সীমাহীন নিয়ামতের মধ্যে রমজান মাস অন্যতম এক বড় নিয়ামত। রমজান মাসের প্রতিটি মুহুর্ত আল্লাহতায়ালা তার রহমত, বরকত আর মাগফিরাত দ্বারা পূর্ণ করে রেখেছে।রমজান মাস এবাদতবন্দেগীর মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের বসন্তকাল। এ মাসে রোজা রাখা মুমিন বান্দাহ বান্দীর জন্য ফরজ। আল্লাহতায়ালা পবিত্র কুরআনুল কারিমে এরশাদ করেছেন ‘ হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর সিয়ামকে ফরজ করা হয়েছে’।
সিয়াম অর্থ রোজা। আর রোজা শব্দ হচ্ছে ফার্সী। সিয়াম শব্দের অর্থ বিরত থাকা। শরিয়তের পরিভাষায় সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত রোজার নিয়তে খানাপিনা স্ত্রী সহবাস থেকে বিরত থাকাকে ই সিয়াম বলা হয়।মাহে রমজান তিনটি ভাগে আল্লাহ তায়ালা সাজিয়েছে। এ প্রসঙ্গে বিশ্বনবী মোহাম্মদ (সাঃ) এরশাদ করেছেন যে, রমজান এমন মাস যার প্রথম অংশ আল্লাহতায়ালার রহমতে পরিপূর্ণ, দ্বিতীয় অংশে রয়েছে আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে ক্ষমা আর তৃতীয় অংশে রয়েছে জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভের এক অনন্য সুযোগ।
বিশিষ্ট সাহাবী হজরত আবু হুরায়রা(রাঃ) হতে বর্ণীত এক হাদিসে রাসুল(সাঃ) এরশাদ করেছেন, পবিত্র রমজান মাস যখন শুরু হয় তখন থেকে আসমানের রহমতের দরজা সমূহ খুলে দেওয়া হয়।জাহান্নামের দরজা সমূহ বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং শয়তানকে শিকল দ্বারা বন্দী করে রাখা হয়।(সহীহ্ বুখারী ও মুসলিম শরিফ)।আল্লাহতায়ালা আমাদের সকলকে এ-ই আজিমুশ্বান পবিত্র মাহে রমজানুল মোবারকে আল্লাহর সন্তুষ্টির লক্ষ্যে রোজা রাখার তাওফিক দান করুন, আমিন।
লেখক-মুফতী মোহাম্মদ এনামুল হাসান, যুগ্ম সম্পাদক – ইসলামী ঐক্যজোট, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখা।
Leave a Reply