সংবাদ শিরোনাম
“স্মার্ট ডিভাইস পরিচালনার দক্ষতাকেই স্মার্ট হওয়া বোঝায় না বরং বই পড়ার মাধ্যমে স্মার্ট মানুষ হওয়া যায়; এডিসি সাইফুল ইসলাম অসুস্থ শিক্ষকের শয্যা পাশে কমলগঞ্জের ইউএনও কমলগঞ্জে আন্ত: বিভাগীয় ডাকাত সর্দার কালা বাবুল গ্রেপ্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৫ হাজার ২শত কৃষকের মধ্যে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ সরাইল উপজেলা পরিষদের উদ্যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের কার্যকরী কমিটির তিন জনকে সংবর্ধনা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার আইন-শৃংখলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত ঈদকে সামনে রেখে জাল টাকার ছড়াছড়ি – নবীনগরে জালনোটসহ একজন আটক।। ১৫ দিনের জেল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হালাল বেকারির পাউরুটিতে নিষিদ্ধ ব্রোমেটের উপস্থিতি শোক সংবাদ: মোহাম্মদ আবু আহম্মদ মৃধার ইন্তেকাল চাঁদের নিচে কি ওঠা!

ফলোআপঃ নাসিরনগরে হিলিপের কাজে চলছে হরিলুট, দেখার কেউ নেই

ফলোআপঃ নাসিরনগরে হিলিপের কাজে চলছে হরিলুট, দেখার কেউ নেই

স্টাফ রিপোর্টার//সময়নিউজবিডি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে ভাঙ্গারী দোকান থেকে পুরাতন রড ও বিল্ডিং ভাঙ্গা পুরাতন পাথর আর মাটি দিয়ে চলছে রাস্তা নির্মান কাজ।এসব হরিলুট দেখার যেন কেউ নেই। এ বিষয়ে প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পরও টনক নড়েনি কর্তৃপক্ষের। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলা সদরে চেঙ্গামোড়া নামক স্থানে ভাঙ্গারী দোকান থেকে পুরাতন রড, পুরাতন বিল্ডিং ভাঙ্গা পাথরের শুড়কি আর গুচ্ছ গ্রামের মাটি দিয়ে চলছে হাওড় অঞ্চল উন্নয়ন প্রকল্পের (হিলিপের) প্রায় ৬৮ লক্ষ টাকা ব্যায়ে রাস্তা নির্মানের কাজ। নাসিরনগর সদরের বাসিন্দা আব্দুল গাফ্ফারের ছেলে মোঃ লিটন মিয়া এ কাজটি করছেন। লিটনের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ দীর্ঘদিনের। অনেকেই তাকে পান খাওড়া লিটন হিসেবে চিনে।
জানা গেছে, লিটন নানা অনিয়ম দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে স্থানীয় হিলিপ কর্মকর্তাদের কোনরূপ পাত্তা না দিয়ে তার নিজের খেয়াল খুশিমত কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১ ঘটিকার সময় সরেজমিন উক্ত রাস্তা গিয়ে দেখা গেছে হাওড় অঞ্চল উন্নয়ন প্রকল্পের মোতালিব নামের এক কর্মকর্তা ও অফিস সহকারী সাইফুল ইসলামের উপস্থিতিতেও চলছে এমন কাজ। এ বিষয়ে তাদের বক্তব্য জানতে চাইলে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজী হয়নি এ দুই কর্মকর্তা। জানা গেছে কখনো রাতের অন্ধকারে আবার কখনো অফিস বন্ধের দিনেও চালিয়ে যাচ্ছে কাজ। শুধু চেঙ্গামোড়া নয় ফান্দাউক ইউনিয়নের আতুকোড়া গ্রামের ভিতর ১ কোটি ২৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত বাস্তার অনিয়মের বিষয়ে ও রয়েছে গ্রামবাসী নানা অভিযোগ। চেঙ্গামোড়া, আতুকোড়া ছাড়াও গোয়ালনগর ইউনিয়নের আশানগর রাস্তা নির্মানে ও রয়েছে নানা অভিযোগ।
গতকাল সড়েজমিন চেঙ্গামোড়া রাস্তা পরিদর্শনে গিয়ে দেখা গেছে এমন চিত্র।তাছাড়াও ওই ঠিকাদার লিটনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ ও ধর্ষণের চেষ্টা সহ ৫ টি মামলা আদালতে চলমান রয়েছে। একটি মামলা ২১ লক্ষ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছে আদালত।
এ বিষয়ে জানতে চেয়ে উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার মোঃ রেজাউল ইসলামের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করলেও ফোন রিসিভ করেননি তিনি। লিটনের এমন অনিয়ম দূর্নীতির বিষয়ে হিলিপের নাসিরনগরের সমন্বয়কারী মোঃ জাকির হোসেনের সাথে দেখা করে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এখানে অসহায়।
গত সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ সিরাজুল ইসলাম চেঙ্গামোড়া রাস্তা পরিদর্শনে আসলে তাকে পুরাতন রড, বিল্ডিং ভাঙ্গা পুরাতন পাথরের শুড়কি ও মাঠি দিয়ে কাজ করার কথা বললে তিনি বলেন, ঢালাইয়ের সময়তো আমি চিলাম না। পাথরের বিষয়ে বললে সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমি রাস্তার অন্য মাথায় আছি বলে ফোন কেটে দেন।
এ বিষয়ে নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হালিমা আক্তারের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে এমন অনিয়ম ও দূর্নীতির কথা জানালে তিনি বলেন, আমি উপজেলা প্রকৌশলীর সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেব।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।

সংবাদটি পছন্দ হলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




আজকের দিন-তারিখ

  • বৃহস্পতিবার (রাত ৩:৫৯)
  • ৭ই রমজান, ১৪৪৪ হিজরি
  • ১৬ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ (বসন্তকাল)
© All rights reserved © 2017 Somoynewsbd24.Com
Translate »