স্টাফ রিপোর্টার//সময়নিউজবিডি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডবের সময় পুলিশের সাজোয়া কর্মী বাহক (এপিসি)তে অগ্নিসংযোগের মূল হোতা জাকারিয়া আহমেদ প্রীতম-(২৮) সহ আরো ৭জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গত শনিবার বিকেল থেকে রোববার ভোর রাত পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন এলাকা ও গাজীপুর জেলা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এনিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তান্ডবের ঘটনায় মোট ৪৫৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছেন, গ্রেপ্তারকৃত জাকারিয়া আহমেদ প্রীতম হেফাজতের তান্ডবের সময় পুলিশের সাজোয়া কর্মী বাহক (এপিসি)তে অগ্নিসংযোগের মূল হোতা। শনিবার বিকেল ৪টায় গাজীপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত জাকারিয়া আহমেদ প্রীতম জেলার সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের পশ্চিমপাড়ার নাছির উদ্দিনের ছেলে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মোঃ রইছ উদ্দিন বলেন, জাকারিয়া ২৮ মার্চ হরতাল চলাকালে বিশ্বরোড এলাকায় পুলিশের এপিসিতে পেট্রোল দিয়ে অগ্নিসংযোগের মূলহোতা। জাকারিয়াকে ভিডিও ফুটেজ দেখে সনাক্ত করা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার বিকেলে জেলা পুলিশের একটি বিশেষ টিম তাকে গাজীপুর সদর থেকে গ্রেপ্তার করে। তিনি এপিসিতে অগ্নিসংযোগের সময় পুলিশের গুলিতে আহত হয়ে গাজীপুর সদরে আত্মগোপনে থেকে ভাড়া বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তান্ডবের সময় বিশ্বরোড এলাকায় ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও সহিংসতার ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
তিনি বলেন, তান্ডবের ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে জাকারিয়া ছাড়াও আরো ৬জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এনিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তান্ডবের ঘটনায় মোট ৪৫৪জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদিকে জেলা পুলিশের বিশেষ শাখা থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হেফাজতের তান্ডবের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন থানায় এ পর্যন্ত ৫৬টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে সদর মডেল থানায় ৪৯টি, আশুগঞ্জ থানায় ৪টি, সরাইল থানায় ২টি এবং আখাউড়া রেলওয়ে থানায় ১টি মামলা দায়ের করা হয়। এ সকল মামলায় ৪১৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৩০/৩৫ হাজার লোককে আসামী করা হয়। পুলিশ এ পর্যন্ত ৪৫৪ জনকে গ্রেপ্তার করে।
উল্লেখ্য মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তির অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমনের প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ চালায়। এসময় হামলাকারীরা সরকারি, বেসরকারি প্রায় অর্ধশতাধিক স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মৃত্যুপুরিতে পরিনত করে।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply