মতিউর মুন্না//সময়নিউজবিডি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে মাথার খুলি বিহীন এক কন্যা শিশুর জন্ম দিয়েছেন এক মা।
সোমবার (২৪ মে) বিকেলে জেলা সদর হাসপাতালে স্বাভাবিকভাবে এ কন্যা শিশুর জন্ম হয়। তবে শিশুর মা সুস্থ থাকলেও অসুস্থ রয়েছেন সদ্য জন্ম নেওয়া এ শিশুটি।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, জেলার নাসিরনগর উপজেলার গোয়ালনগরের শহীদ মিয়ার মেয়ে তানজিনা বেগমের সাথে দুই বছর আগে একই উপজেলার ভলাকুট গ্রামের মৃত সফিল উদ্দিনের ছেলে জসিম উদ্দিনের বিয়ে হয়। এক বছর আগে তানজিনা গর্ভবতী হন। এরপর থেকে তানজিনা বিভিন্ন গাইনী চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিয়েছেন। তানজিনার যখন অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার সাত মাস পূর্ণ হয় তখন এক গাইনি চিকিৎসক একটি আল্ট্রাসনোগ্রাফি করে জানান, জন্ম নিতে যাওয়া শিশুটি শারীরিকভাবে অসুস্থ হবে। এমনকি তার মাথার খুলি হবে না। চিকিৎসকের একথা শুনেও তানজিনার শ্বশুর বাড়ির লোকজন তা আমলে নেননি। সোমবার বিকেলে তানজিনার প্রসব ব্যথা শুরু হলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন।
পরে জেলা সদর হাসপাতালের গাইনি বিভাগে স্বাভাবিকভাবেই মাথার খুলি ও মগজ বিহীন এ কন্যা শিশুটির জন্ম হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের গাইনি বিভাগের চিকিৎসক মাহফিদা আক্তার হ্যাপী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মাথার খুলি ও মগজ বিহীন এ কন্যা শিশুটির জন্ম দেন তানজিনা। এভাবে জন্ম নেওয়া শিশুদের এনেনসেফ্যালি বলা হয়। এসব শিশু সর্বোচ্চ ৪৮ ঘন্টা পর্যন্ত বেঁচে থাকে। তিনি বলেন, ফলিক এসিডের অভাবে শিশুটির জন্মগত এ রোগ হয়েছে। তবে শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply