সংবাদ শিরোনাম
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের কার্যক্রম চালুর দাবিতে কমিউনিস্ট পার্টির স্মারকলিপি প্রদান

ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের কার্যক্রম চালুর দাবিতে কমিউনিস্ট পার্টির স্মারকলিপি প্রদান

স্টাফ রিপোর্টার//সময়নিউজবিডি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের কর্মসূচী চলাকালে গত ২৬ মার্চ মাদরাসার ছাত্রদের ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগে ধ্বংসপ্রায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনটি দ্রুত সংস্কার করে ট্রেনের যাত্রাবিরতি পুনরায় চালু করার দাবিতে কমিউনিস্ট পার্টির স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে রেলপথ মন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনটি হেফাজতি তান্ডবে ধ্বংসের কারনে জনগনকে সীমাহীন ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। চার-পঁাচগুন টাকা বেশী খরচ করে জনগনকে বাসে করে যাতায়ত করতে হচ্ছে। এছাড়া রেলওয়ে স্টেশনের কার্যক্রম বন্ধের কারনে রেলওয়ে স্টেশনকে কেন্দ্র করে জীবিকা নির্বাহ করা ফেরীওয়ালা, হোটেল ব্যবসায়ী, হোটেলের কর্মচারী, রিকসা চালকসহ নিম্ন আয়ের প্রায় তিন হাজার পরিবার প্রয়োজনীয় অর্থের অভাবে কষ্ট করছে।
স্মারকলিপিতে তান্ডবের ঘটনায় দায়ী হেফাজতে ইসলামের দায়ী নেতা-কমর্ীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়।
স্মারকলিপি প্রদানকালে জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি শাহরিয়ার মোঃ ফিরোজ, সাধারণ সম্পাদক সাজিদুল ইসলাম, জেলা কমিউনিস্ট পার্টির নেতা আছমা খানম, সৈয়দ মোহাম্মদ জামাল, অসিত রঞ্জন পাল, আহমেদ হোসেন, এম.এ. রকিব ও অসীম কুমার বর্ধন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ২৬ মার্চ হেফাজতের সন্ত্রাসীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে হামলা করে স্টেশনের কন্ট্রোল রুমের সিগন্যাল প্যানেল ভাংচুর করে পুড়িয়ে দেয়াসহ পুরো স্টেশনটি ধ্বংস করে দেয়। এর পর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে পূর্বনির্ধারিত সকল ট্রেনের যাত্রা বিরতি বাতিল করা হয়।
প্রসঙ্গত, মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তির অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমনের প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলামের নেতা-কমর্ীরা গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ চালায়। এসময় হামলাকারীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন, পৌরসভা কার্যালয়, সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন, এসিল্যান্ডের কার্যালয়, সুর সম্রাট আলাউদ্দিন খঁা পৌর মিলনায়তন, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবসহ সরকারি, বেসরকারি প্রায় অর্ধশতাধিক স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মৃত্যুপুরিতে পরিনত করে।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।

সংবাদটি পছন্দ হলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Somoynewsbd24.Com