সদর উপজেলা (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
কক্সবাজার শহরের বার্মিজ মার্কেট এলাকা থেকে চুরি যাওয়া মোটর সাইকেল উদ্ধারের ঘটনায় শহর ছাত্রলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। এঘটনায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ।
জানা গেছে, গত ৪ জুন কক্সবাজার শহরের কলাতলীর সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে রামু সরকারী কলেজ ছাত্রলীগ নেতা মোহাম্মদ রিয়াদের মোটর সাইকেল ছিনতাই করে শীর্ষ মোটর সাইকেল ছিনতাইকারী চক্র বিজিবি ক্যাম্প এলাকার মৃত আবুল কালাম সিকদারের ছেলে সোলাইমান সিকদার ওরফে সালমান খান এবং কালুর দোকান এলাকার ইফতি। মোটরসাইকেল চোর চিহ্নিত হওয়ার পর বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করার পরও মোটর সাইকেলটি ফেরত দেয়নি ছিনতাইকারীরা। পরে গত ১ জুলাই কক্সবাজার শহরের বৌদ্ধমন্দির সড়কের আমেনা শপিং কমপ্লেক্সের সামনে মোটর সাইকেলটি পার্কিং করা অবস্থায় দেখলে মোটর সাইকেলের প্রকৃত মালিক ছাত্রলীগ নেতা রিয়াদ এসে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।মোটরসাইকেল উদ্ধারে সহযোগিতা করে শহরের ৯নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি রায়হান ছিদ্দিকী। ওই সময় ছিনতাইকারীরা আশপাশে অবস্থান করলেও মোটর সাইকেলের প্রকৃত মালিককে দেখতে পেয়ে পালিয়ে যায়।এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি চক্র শহর ছাত্রলীগ নেতা রায়হান ছিদ্দিকীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার শুরু করেছে। গত ৭ জুলাই ‘সিটিজি বিডি নিউজ ডট কম’ নামে একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে রায়হান ছিদ্দিকীকে মোটরসাইকেল ছিনতাইকারী দাবী করে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে। সেখানে উল্লেখ করা হয়, আমেনা শপিং কমপ্লেক্সের সামনে থেকে মোটর সাইকেলটি ছিনতাই করা হয়। অথচ এটি ছিল চুরি হয়ে যাওয়া মোটরসাইকেল উদ্ধারের ঘটনা। একই সাথে তার বিরুদ্ধে আরও নানা আপত্তিকর অভিযোগ তোলা হয়। যা বানোয়াট এবং মিথ্যাচার যার কোন ভিত্তি নেই।
এবিষয়ে মোটরসাইকেলের মালিক রামু সরকারী কলেজ ছাত্রলীগ নেতা মো. রিয়াদ বলেন, চুরি হয়ে যাওয়ার অনেকদিন পর আমেনা শপিং কমপ্লেক্সের সামনে মোটর সাইকেলটি দেখলে আমি সেটি উদ্ধার করি। আমার মোটরসাইকেল উদ্ধারে সহযোগিতা করে ছাত্রলীগ নেতা রায়হান ছিদ্দিকী। এটা কোন ছিনতাইয়ের ঘটনা নয়, এটি ছিল চুরি হয়ে যাওয়া মোটর সাইকেল উদ্ধারের ঘটনা। কিন্তু কথিত সাংবাদিকদের ভুুল তথ্য, দিয়ে মোটর সাইকেল ছিনতাইকারীরা উল্টো রায়হান ছিদ্দিকী র বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এটি অত্যন্ত দুঃখ জনক। আমি এই অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা জানাই।
এবিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা রায়হান ছিদ্দিকী বলেন, একটি চুরি যাওয়া মোটর সাইকেল উদ্ধারে সহযোগিতা করতে গেলে যদি মোটর সাইকেল ছিনতাইকারী বানানো হয়। আমি যদি সত্যিই কোন অপরাধের সাথে জড়িত থাকি তাহলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সঠিক তদন্ত করে বের করুক। অহেতুক একজন মানুষকে অপরাধী সাজানো কতটা নীতি নৈতিকতার মধ্যে পড়ে। এই অপপ্রচারে আমার চরম সম্মানহানি হয়েছে। তাই আমি জীবনের নিরাপত্তার জন্য আইনের আশ্রয় নেব।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply