সংবাদ শিরোনাম
নাসিরনগরে পুলিশকে মারপিট করে পালিয়েছে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি কমলগঞ্জে ময়ুর মিয়া হত্যাকা-ের রহস্য উদঘাটন; আলামতসহ মূল আসামী গ্রেফতার কমলগঞ্জে বাড়ির আঙ্গিনায় সবজি চাষের সময় গ্রেনেড উদ্ধার কমলগঞ্জে বিপুল পরিমাণ বিদেশী সিগারেটসহ গ্রেফতার-২ কমলগঞ্জে বণিক সমিতির নির্বাচনের দাবিতে ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন কমলগঞ্জে সাংবাদিকদের সাথে জিয়াউর রহমান সমাজ কল্যাণ পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় নাসিরনগরে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে একজন নিহত।। আহত- ৩০।। দোকানপাট ভাংচুর ও লুটতরাজ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শাপলা কুড়াতে গিয়ে দুই ভাই-বোনের করুণ মৃত্যু।। পরিবারে শোকের মাতম ফলোআপ-কমলগঞ্জে শিক্ষক রোজিনা হত্যার আসামীকে ময়মনসিংহ থেকে গ্রেফতার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাড়ে ৭ টাকার ওষুধের দাম ৩৫০ টাকা চাওয়ায় জান্নাত ফার্মেসিকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা
কমেছে পানি, বাড়ছে দুর্ভোগ, নেই ত্রাণ

কমেছে পানি, বাড়ছে দুর্ভোগ, নেই ত্রাণ



শাহিনুর ইসলাম প্রান্ত,লালমনিরহাট প্রতিনিধি

লালমনিরহাটে তিস্তা, ধরলা, সানিয়াজান ও রত্নাইসহ সব নদীর পানি কমতে শুরু করায় জেলায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তবে প্লাবিত এলাকার গুলোতে মানুষের দুর্ভোগ কমেনি। বসত বাড়ির চারপাশে এখনও পানি থাকায় কার্যত পানিবন্দী হয়ে আছেন জেলার লাখ মানুষ। দুর্গত মানুষদের অভিযোগ, খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। যে ত্রাণ বরাদ্দ হিসেবে তা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারে কম। গবাদি পশু-পাখি নিয়েও বিপাকে পড়েছেন তারা। পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিলেও মিলছে না চিকিৎসা সেবা। পানি কমলেও বন্যা কবলিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে এখনও পাঠদান বন্ধ রয়েছে।
জানা গেছে, জেলার হাতীবান্ধায় অবস্থিত দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ দোয়ানী পয়েন্টে শুক্রবার রাতে বিপদসীমার ৫০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। এতে জেলার লক্ষধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়ে। সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয় জেলার হাতীবান্ধা উপজেলায়। ওই উপজেলার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, সিঙ্গিমারী, সির্ন্দুনা, পাটিকাপাড়া ও ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের অধিকাংশ বাঁধ ও রাস্তা ভেঙ্গে যায়। শনিবার বিকাল থেকে নদী গুলোর পানি কমতে থাকে। রোববার দুপুরে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানি বিপদ সীমার ২৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বর্তমানে ৫টি উপজেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে বন্যা কবলিত এলাকার মানুষজন চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন। এখনো হাজারো গৃহহীন পরিবার খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। জেলার আশ্রয়কেন্দ্রে গুলোতে বেশ কিছু পানিবন্দী মানুষ অবস্থান নিয়েছেন।
দুর্গত মানুষজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানি পাচ্ছেন না তারা। পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়েও পাচ্ছেন না চিকিৎসাসেবা। হাতে কাজ না থাকায় আয়-উপার্জন বন্ধ হয়ে গেছে তাদের। ফলে তাদের ভোগান্তি এখন আরও বেড়েছে। পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থার না থাকায় নাজেহাল অবস্থা এ জেলার বন্যাদুর্গত মানুষের।
হাতীবান্ধা উপজেলার হলদীবাড়ি চরের আবুল কাশেম জানান, ঘরে পানি উঠার কারণে ৩ দিন ধরে রান্না করতে পারছে না। চার দিকে পানি থাকায় কাজ-কর্ম নেই। ফলে অতি কষ্টে ছেলে-মেয়েদের নিয়ে দিন কাটাচ্ছে। যে ১৫ কেজি ত্রাণের চাল পেয়েছে, তা দিয়ে তার কিছুই হচ্ছে না।


জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আলী হায়দার বলেন, ১১০ মেট্রিক টন জিআর চাল ও আড়াই লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তবে শুক্র ও শনিবার ব্যাংক বন্ধ থাকায় টাকা উত্তোলন করা সম্ভব হয়নি। তাই বাকিতে বা অন্য কোথাও ধার নিয়ে শুকনা খাবার সংগ্রহ করে বিতরণ করতে সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসনকে বলা হয়েছে। স্থানীয়ভাবে টাকা ম্যানেজ করতে কিছুটা বিলম্ব হওয়ায় শুকনা খাবার বিতরণে কিছুটা দেরি হয়েছে। শুকনা খাবার হিসেবে জেলা ত্রাণ শাখার গুদামে এক হাজার ৯৪৭ প্যাকেট শুকনা খাবার মজুদ রয়েছে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর বলেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। বন্যার্তদের মাঝে চাল, নগদ টাকা ও শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে। ত্রাণ চেয়ে ত্রাণ অধিদফতরে আরো তালিকাসহ আবেদন করা হয়েছে। পানিবন্দী লোকজন ঘরে না ফেরা ও বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত আমরা তাদের পাশে আছি।

ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।

সংবাদটি পছন্দ হলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Somoynewsbd24.Com