আব্দুল হান্নান, নাসিরনগর প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার জেলে পল্লীতে এখন শুটকী তৈরীর ধুম পড়েছে। উপজেলার খাদ্য গুদামের পূর্ব ও পশ্চিম পাশে গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি শুটকী তৈরীর মাঁচা। আশ্বিন, কার্তিক, অগ্রহায়ন ও পৌষ এই চার মাস নদী থেকে কাচা পুঁটি মাছ ধরা ও শুকানোর সময়। প্রতিবছর এ সময় নাসিরনগরে ৪ থেকে ৫ কোটি টাকার পুঁটি মাছের শুটকী বিক্রি করা হয় বলে জানান স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। এ বছর নাসিরনগরে শুটকী শুকানোর প্রায় ১৩টি বাঁশের মাঁচা তৈরী করা হয়েছে। খোলা আকাশের নীচে নদী থেকে ধরে পুঁটি মাছ শুকিয়ে প্রস্তুত করা হচ্ছে চ্যাপা শুটকী। ব্যবসায়ীরা জানান, চলতি শুটকী তৈরীর মৌসমে প্রায় দুই শতাধিক নারী পুরুষ শ্রমিক মিলে শুটকী তৈরীর কাজ করছে। উপজেলার বিভিন্ন জায়গা মেদীর হাওড়, উত্তরবাল্লা, আটওয়ারী, বালিঙ্গা ও লঙ্গন নদীতে জালের মত ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। এ সমস্ত মিঠা পানির বিল থেকে পুঁটি মাছ ধরে সুস্বাদু চ্যাপা শুটকী তৈরী করা হয়। কোন প্রকার রং বা ক্যামিকেল ব্যবহার করা হয়নি। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক ভাবে তৈরী হয় বলে এ শুটকীর যথেষ্ট সুনাম ও সুখ্যাতি রয়েছে। নাসিরনগর ভিটাডুবী ডিঘর মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক পরিমল দাসের কথা বললে তিনি জানান, এই ব্যবসায় অনেকেই স্বাবলম্বী হয়েছে। নাসিরনগরে উৎপাদিত চ্যাপা শুটকী কিশোরগঞ্জ, হবিগঞ্জ, সিলেট, নরসিংদী, সুনামগঞ্জ ও রাজধানী ঢাকা সহ বিভিন্ন দেশেও রপ্তানি হচ্ছে। উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা শুভ্র সরকারের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, স্বাস্থ্য সম্মত উপায়ে কিভাবে শুটকী তৈরী করা যায় সে বিষয়ে প্রশিক্ষণের জন্য আমরা একটি তালিকা প্রণয়ন করেছি।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply