সরাইল উপজেলা প্রতিনিধি
ব্রহ্মণবাড়িয়া সরাইলে যথাযোগ্য মর্যাদায় বাংলায় নারী মুক্তির অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার স্মরণে ‘রোকেয়া দিবস’ পালন করা হয়। এই উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে রোকেয়া হলে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নিবার্হী অফিসার মোঃ আরিফুল হক মৃদুলের সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফাতেমা আক্তার। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।
অনুষ্ঠানে আলোচকগণ বলেন, মহীয়সী নারী বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন নারীমুক্তি, সমাজ সংস্কার ও প্রগতিশীল আন্দোলনের পথিকৃত। বেগম রোকেয়া অগ্রসর মানসিকতা, দূরদর্শী চিন্তা, যুক্তিপূর্ণ মতামত তৎকালীন নারীসমাজকে জাগিয়ে তোলেন। বাঙালি মুসলিম নারীদের অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তিনি সর্বদা পর্দার অন্তরালে থেকে নারীশিক্ষা বিস্তারে উদ্যোগ নেন এবং মুসলমান মেয়েদের অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্তির পথ সুগম করেন। সামাজিক নানা বিধি-নিষেধ, নিয়ম-নীতির বেড়াজাল অগ্রাহ্য করে আবির্ভূত হন অবরোধবাসিনীদের মুক্তিদূত হিসেবে। তিনি শিক্ষার মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন এবং সামাজিক বৈষম্য দূর করে নারীর মর্যাদা সমুন্নত রাখার স্বপ্ন দেখেছিলেন।
তাঁরা আরো বলেন, নারী-পুরুষের সমান অংশীদারিত্ব ছাড়া টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার নারীসমাজকে দেশের সার্বিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্তকরণের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়নকে নিশ্চিত করতে নিরবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে প্রণীত হয়েছে জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি-২০১১ ও বাল্যবিবাহ আইন-২০১৭। নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। নারীর মর্যাদা, অধিকার ও স্বনির্ভরতা অর্জনে আমাদের সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। তবেই বেগম রোকেয়ার আদর্শ ও স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে। বেগম রোকেয়ার জীবনাদর্শ ও কর্ম আমাদের নারীসমাজের অগ্রযাত্রায় পথপ্রদর্শক হয়ে থাকবে- বেগম রোকেয়া দিবসে এই হোক আমাদের একান্ত প্রত্যাশা।
প্রসঙ্গত, আলোচনা সভা শুরুর আগে অতিথিবৃন্দ বেগম রোকেয়ার প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply