জয় বাংলা বাংলার জয়- কালজয়ী গানের রচয়িতা, কিংবদন্তী গীতিকার, চিত্রনাট্যকার, সুরকার, প্রযোজক ও পরিচালক বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত গাজী মাজহারুল আনোয়ারের আর বেঁচে নেই।
গত ৪ সেপ্টেম্বর রবিবার ভোরে তিনি বার্ধক্যজনিত কারণে রাজধানী ঢাকার হাসপাতালে নেয়ার পথে মৃত্যু বরণ করেন। সাহিত্য একাডেমির সভাপতি কবি জয়দুল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক নূরুল আমিন গাজী মাজহারুল আনোয়ারের মৃতুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন। তারা বলেন, মহান স্বাধীনতার সময় মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে গান রচনা করে তাঁদেরকে স্বাধীনতা যুদ্ধে উদ্বুদ্ধ করেন। তাঁর মৃত্যুতে জাতির অনেক অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেলো।
গাজী মাজহারুল আনোয়ার ছিলেন একজন বাংলাদেশি চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, রচয়িতা, গীতিকার ও সুরকার। স্বাধীনতা ও দেশপ্রেম নিয়ে তিনি অসংখ্য শ্রোতাপ্রিয় গান লিখেছেন। তিনি ২০০২ সালে বাংলাদেশের একুশে পদক এবং ২০২১ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেন। ২০ হাজারের বেশি গান রচনা করেছেন তিনি।
গাজী মাজহারুল আনোয়ার ১৯৪৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার দাউদকান্দি থানার তালেশ্বর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ২০ হাজার গানের রচয়িতা গাজী মাজহারুল আনোয়ার ১৯৬৪ সাল থেকে রেডিও পাকিস্তানে গান লেখা শুরু করেন। পাশাপাশি বাংলাদেশ টেলিভিশনের জন্মলগ্ন থেকেই নিয়মিত গান ও নাটক রচনা করেন। প্রথম চলচ্চিত্রের জন্য গান লেখেন ১৯৬৭ সালে আয়না ও অবশিষ্ট চলচ্চিত্রের জন্য। ১৯৬৭ সালে চলচ্চিত্রের সাথে যুক্ত হওয়ার পর থেকে কাহিনী, চিত্রনাট্য, সংলাপ ও গান লেখাতেও দক্ষতা দেখান তিনি। তার পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র নান্টু ঘটক ১৯৮২ সালে মুক্তি পায়। তার পরিচালিত চলচ্চিত্রের সংখ্যা ৪১ টি।
এদিকে, প্রখ্যাত গীতিকার মাজহারুল আনোয়ারের মৃত্যুতে শোক ও সমবেদনা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সম্মিলিত সাংবাদিক ইউনিয়ন।
সম্মিলিত সাংবাদিক ইউনিয়নে সভাপতি হাবিবুর রহমান পারভেজ ও সাধারণ সম্পাদক মাসুক হৃদয় গাজী মাজহারুল আনোয়ারের মৃতুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন। তারা বলেন, গীতিকার মাজহারুল আনোয়ারের অবদান অনস্বীকার্য। তিনি আমাদের অমূল্য সম্পদ ছিলেন। তাঁকে হারিয়ে আমরা নির্বাক। আমরা তাঁর আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
তিনি একুশে পদক, স্বাধীনতা পদক, ৬ বার চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। এমন গুণী ব্যক্তিত্ব আমরা আর পাব না। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
Leave a Reply