স্টাফ রিপোর্টার//সময়নিউজবিডি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অন্যতম উদ্যোক্তা, প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ ও আইনজ্ঞ স্যার সৈয়দ শামসুল হুদা এর শতবর্ষ মৃত্যু বার্ষিকী পালন করা হয়।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর বুধবার বিকাল সাড়ে পাঁচটায় শহরের কুমারশীল মোড়স্থ জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগার মঞ্চে সাহিত্য একাডেমি ও জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগার যৌথ আয়োজনে “স্যার সৈয়দ শামসুল হুদা’র” মৃত্যুর শত বছর স্মরণে আলোচনা সভা ও আবৃত্তি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সাহিত্য একাডেমির সভাপতি কবি জয়দুল হোসেনের সভাপতিত্বে তাবেদার রসুল বকুল রচিত স্যার সৈয়দ শামসুল হুদা: জীবন ও সমকাল গ্রন্থের ওপর আলোচনায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলা একাডেমির উপপরিচালক ড. তপন বাগচী, বিশেষ অতিথি ছিলেন তাবেদার রসুল বকুল, সুর সম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ সঙ্গীতাঙ্গনের সাধারণ সম্পাদক মনজুরুল আলম, জেলা উদীচীর সভাপতি জহিরুল ইসলাম চৌধুরী স্বপন, এডভোকেট মোজাম্মেল হক।
ঊনিশ শতকে ১৮৬২ সনে ব্রিটিশ ভারতের বাঙালি মণীষী ও হিতৈষী নক্ষত্রপ্রতিম ভারত উপমহাদেশের ত্রিপুরা জেলার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের গোকর্ণ গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি বেঙ্গল লেজিসলেটিভ কাউন্সিলের প্রথম ভারতীয় এবং সর্বভারতীয় মুসলিম লীগের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তিনি ছিলেন বাঙালি মুসলমানের মধ্যে হাইকোর্টের দ্বিতীয় বিচারপতি। তিনি মাত্র ষাট বছর বয়সে ১৯২২ সনের ৭ সেপ্টেম্বর মৃত্যু বরণ করেন। তাঁর জীবনীতে অসামান্য কর্মখ্যাতি অর্জন করেন।
সাহিত্য একাডেমির সহসভাপতি এডভোকেট মানিক রতন শর্মা এর উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগার কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম লিমন। অনুষ্ঠানে আগত অতিথি ড. তপন বাগচী ও তাবেদার রসুল বকুলকে সাহিত্য একাডেমির পক্ষ থেকে স্যার “সৈয়দ শামসুল হুদা” সম্মাননা স্বারক প্রদান করা হয়।
আলোচনা শেষে সাহিত্য একাডেমি পরিবেশনায় সোহেল আহাদের গ্রন্থনা ও নির্দেশনা এবং নুসরাত জাহান বুশরা সহযোগী নির্দেশনায় “মানচিত্রের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু” বৃন্দ আবৃত্তি অনুষ্ঠিত হয়। দলীয় আবৃত্তিতে অংশগ্রহণ করেন বুশরা, সানজিদা, তৃপ্তি, সাঈদ, আমানউল্লাহ, রামীম, নোহা, পূন্যশ্রী, মায়মোনা ও বৃষ্টি প্রমূখ।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply