সংবাদ শিরোনাম
অর্থ আত্মসাৎসহ নানান অভিযোগে সরাইলে এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা

অর্থ আত্মসাৎসহ নানান অভিযোগে সরাইলে এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা

সরাইল উপজেলা প্রতিনিধি
অর্থ আত্মসাৎ, স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম, দুর্নীতি, ইউনিয়নের নির্বাচিত সদস্যদের সাথে খারাপ আচরণ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ এনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাউছার আহম্মেদের বিরুদ্ধে অনাস্থা দিয়েছেন ১২ জন ইউপি সদস্য।
রবিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট ইউপি সদস্যরা উপস্থিত হয়ে এ অনাস্থার লিখিত অভিযোগ প্রদান করেন। যার অনুলিপি দেয়া হয়েছে জেলা প্রশাসক, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর।
অভিযোগে ইউপি সদস্যরা উল্লেখ করেন, ইউপি চেয়ারম্যান কাউছার আহম্মেদ নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে তিনি অত্যন্ত বেপরোয়া হয়ে উঠেন। তিনি এলাকার সকল প্রকার অনৈতিক ও অপরাধমূলক কর্মকান্ডের সাথে জড়িয়ে পড়ে চাঁদাবাজিসহ অন্যান্য অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন। ইউনিয়ন পরিষদের যে কোন ধরনের সেবা নিতে গেলে চেয়ারম্যান কাউছার হোসেন মানুষের নিকট হইতে বিধি বর্হিভূতভাবে বিনা রশীদে সনদ বাবদ বিধি বর্হিভূতভাবে ৫০/- (পঞ্চাশ) টাকা ফি এর পরিবর্তে ৩০০/৫০০ টাকা বে-আইনীভাবে অর্থ আদায় করে আসছেন। এছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক সাবমারছিল টিউবওয়েল প্রদানে সরকারী ফি উপেক্ষা করে আগ্রহী গ্রাহকদের নিকট হইতে বিধি বহিভূর্তভাবে ১২ হাজার টাকার পরিবর্তে ৩০ হাজার টাকা আদায় করে অতিরিক্ত অর্থ ১৮ হাজার টাকা আত্মসাৎ করে আসছেন। মৃত ব্যক্তিদের ওয়ারিশ সনদ প্রদানে বে-আইনীভাবে ১২০ থেকে ৫শত টাকা বিনা রশীদে গ্রহণ করছে। জনগণ থেকে নাগরিকত্ব সনদে ২০০ টাকা, উত্তরাধিকারী সনদে ৫০০ টাকা, ব্রিক্স ফিল্ডের জন্য ট্রেড লাইসেন্স ২৩ হাজার টাকা, বিভিন্ন ধরনের ট্রেড লাইসেন্স ৫শত থেকে ৫ হাজার টাকা আদায় করছেন। এলজিএসপি’র প্রকল্প তিনি একক সিদ্ধান্তে গ্রহণ করেন এবং লোক দেখানোর জন্য সামান্য কাজ করিয়ে দুই তৃতীয়াংশ অর্থ আত্মসাৎ করেন।
এ ব্যাপারে পাকশিমুল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কাউছার আহম্মেদ এর সাথে যোগাযোগ করে জানতে চাইলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি স্বচ্ছ আছি, আমার কোন সমস্যা নেই। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর আমি সুতা পরিমাণ কোন অনিয়ম করিনি। স্বার্থের কারণে যারা অভিযোগ দিয়েছেন তদন্ত হলে একটি অভিযোগেরও প্রমাণ তারা দেখাতে পারবে না। আমি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই তারা বিভিন্নভাবে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আসছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আরিফুল হক মৃদুল বলেন, অভিযোগপত্রটি স্থানীয় সরকার বিভাগের মাধ্যমে তদন্ত করা হবে। তদন্ত শেষে অভিযোগের সত্যতা পেলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।

সংবাদটি পছন্দ হলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Somoynewsbd24.Com