সরাইল উপজেলা প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা সামাজিক সম্প্রীতি কমিটির উদ্যোগে শনিবার বিকালে সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম অডিটরিয়ামে সামাজিক সম্প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শাহগীর আলম বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় যা ঘটে নেগেটিভ ও প্রজেটির তাহা প্রথমেই জেলা প্রশাসক ও এসপির উপর আসে এবং তাহা খারাপ ও ভালটা লাগে ডিসি ও এসপির। সরকার এটা উপলদ্ধি করে সামাজিক সম্প্রীতির কথা বলছে। গতবছর ২৪ ফ্রেরুয়ারী রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধ শুরু হয় ,এরপর ইন্ডিয়ায় কিছু ঘটনা ঘটেছে, নুপুর শর্মার ঘটনা থেকে শুরু করে, নিবার্চন, আসতেছে পুজা, গত বছর কুমিল্লার ঘটনা, সবমিলে যারা এখন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিশ্বাস করে না। স্বাধীনতার ৫২ বছর পরও এরা এ ষড়যন্তে লিপ্ত। এদের সংখ্যা খুবই কম। কিন্তু এদের নেটওয়ার্ক খুব শক্ত। সবকিছু বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সামাজিক সম্প্রীতির কথা বলেছে, এটা কি শুধু পুজা ও মিলাদুননবীর কথা বলেছে। না সবমিলিয়ে সামাজিক সম্প্রীতির বজায় রাখা প্রত্যেক জনগনের নাগরিক দায়িত্ব। সরাইল উপজেলা নিবার্হী অফিসার ও উপজেলা সামাজিক সম্প্রীতি কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আরিফুল হক মৃদুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সংরক্ষিত নারী আসেন সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম শিউলি আজাদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শাহাগীর আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট মুহাম্মদ নাজমুল হোসেন, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ আনিসুল ইসলাম, সরাইল থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আসলাম হোসেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবু হানিফ মিয়া, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোকেয়া বেগম , উপজেলা সাবেক মুক্তিযুদ্ধা কমান্ডার ইসমত আলী, উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি মোহাম্মদ শফিকুর রহমান, অরুয়াইল আব্দুস সাত্তার ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মোখলেছুর রহমান, মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ বদর উদ্দিন, সাংবাদিক মাহবুব খান বাবুল, আওয়ামীলীগ নেতা হাজী মাহফুজ আলী,উপজেলা পুজা উদযাপন কমিটির সভাপতি দেবদাস সিংহ রায়, শাহবাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খায়রুল হুদা বাদল, নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুনসুর আহম্মেদ, অরুয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া প্রমুখ। বীর মুক্তিযোদ্ধা, সকল জনপ্রতিনিধি, পেশাজীবি,ছাত্র, যুব এবং রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সামাজিক সম্প্রীতি কমিটির সদস্যদের নিয়ে সামাজিক-সম্প্রীতি বজায় রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply