সংবাদ শিরোনাম
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত মাদক ও ইলেকট্রনিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কারণে ছেলে মেয়েরা মেধা কার্যক্রম থেকে সরে গিয়েছে: খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর নাতি ওস্তাদ আশীষ খাঁ মারা গেছেন আবারও কমলো স্বর্ণের দাম আসছে তীব্র শীত, কমছে তাপমাত্রা সরাইলে বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের আনন্দ মিছিল শীত ও শৈত্যপ্রবাহ নিয়ে যে বার্তা দিল আবহাওয়া অফিস চাল আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার রেল যাতায়াত, যানজট ও লোডশেডিং সমস্যা সমাধানের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নাগরিক ফোরামের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত কক্সবাজারে লেফটেন্যান্ট তানজিম হত্যার ঘটনায় সেনাবাহিনীর অভিযানে ৬ জন আটক
ফান্দাউকের সাবেক চেয়ারম্যান ফারুকের বিরুদ্ধে কয়েক কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ

ফান্দাউকের সাবেক চেয়ারম্যান ফারুকের বিরুদ্ধে কয়েক কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ

মোঃ আব্দুল হান্নান,নাসিরনগর প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার ফান্দাউক ইউনিয়নের ফান্দাউক গ্রামের মালু মিয়ার ছেলে,সাবেক ইউ/পি চেয়ারম্যান, চোরাকারবারী,ভূমি দস্যূ, চোর ডাকাত, সন্ত্রাসীদের গডফাদার থেকে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হয়ে পরবর্তীতে জেলা পরিষদ সদস্য ফারুকুজ্জামান (৫২) র বিরুদ্ধে রয়েছে অসংখ্য অনিয়ম,দুনীর্তির অভিযোগ।

এমন কোন অপকর্ম নেই যা তিনি করেননি। চোরাচালানী ব্যবসা দিয়ে শুরু হয় তার উত্থান। ২০০২ সালে কালিকচ্ছ বিডিআর সদস্য গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তার বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু ভারতীয় মাদক,কার্পেট সহ অন্যান্য কালো বাজারী দ্রব্য উদ্ধার করে বলে জানান স্থানীয়রা। বিজিবির অভি অভিযানের পর প্রায় ৬ মাস পর্যন্ত গা ঢাকা দিয়ে পালিয়ে যায় ফারুক।

এলাকাবাসী জানায়,একসময় ফান্দাউক বাজারে অবস্থিতএক ফার্মেসীর পেছনে ছিল তার আস্তানা। সেখানে বসেই সব কিছু নিয়ন্ত্রন করতেন ফারুক। চোরাচালানী ব্যবসা ছাড়াও তৎকালীন সময়ে ভারতীয় চিনি, জিরা,মাদক সহ বিভিন্ন পন্য কালো বাজারে বিক্রি করতেন ফারুক। ফারুকের বিরুদ্ধে রয়েছে সংখ্যালুঘু সহ বিভিন্ন লোকজনের জায়গা দখলের বিস্তর অভিযোগ। তার রয়েছে একটি শক্তিশালী সন্ত্রাসী বাহিনী। ফারুক ওই বাহিনীর গডফাদার।স্থানীয়রা জানান, ওই বাহিনীর প্রধান মাদক সম্ম্রাট জাকির। বর্তমানে জাকির র‌্যাবের দায়ের করা মাদক মামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেল হাজতে রয়েছে। ফারুক তার বাহিনীকে দিয়ে বিভিন্ন কৌশলে লোকজনের কোটি কোটি টাকা মূল্যের ঘরবাড়ী ও জমি দখলে রেখেছে।বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে আদালতে মামলাও চলমান রয়েছে।

ফান্দাউক গ্রামের গুরুপদ আচার্য্য জানায়,তার ৫ শতাংশ বসত ভিটা ফারুক তার বাহিনীর লোকজ কে দিয়ে দখল করে রেখেছে। বর্তমানে গুরুপদ আচার্য্য ফারুকের ভয়ে অন্য গ্রামে বসবাস করছে। বাড়ী হারিয়ে নাসিরনগর সদরের পশ্চিম পাড়ায় বসবাসকারী কৃষ্ণ দাস জানায়, ফারুক তার বাহিনীর লোকজন দিয়ে তাদের ৩ ভাইয়ের ১৮ শতাংশ বাড়ী জোরে দখল করে নিয়ে গেছে। ফারুকের ভয়ে তার ১ ভাই ভারতে চলে গেছে ও অপর ২ ভাই নাসিরনগরে অন্যের জায়গায় বসবাস করছে।

রসুলপুর গ্রামের মুজিবুর রহমান মাষ্টারের ছেলে মিল্টন জানায়, ভূমিদুস্য ফারুক তার পৈত্রিক ৬০ শতাংশ জমি জোর করে দখল করে রেখেছে। এই নিয়ে আদালতে মামলাও চলমান রয়েছে। সাবেক চেয়ারম্যান মৃত বাচ্চু মিয়ার ছোট ছেলে রাসেল জানায়, তার চাচাতো ভাই ফারুক জোর পূর্বক রাসেলের পৈত্রিক সমস্ত সম্পত্তি দখল করে নিয়েছে।সাবেক এক চেয়ারম্যানের ছেলে ও ফারুকের চাচাতো ভাই হয়েও বর্তমানে রাসেল তার মাকে নিয়ে অসহায় অবস্থায় সিলেটে বসবাস করছে। গাইন বাড়ীর মিরছি মিয়ার ছেলে ছায়েদ মিয়া জানায়, ফারুক তার লোকজনকে দিয়ে ছায়েদ মিয়া ও তার ভাই্েবানদের ১১২ শতাংশ জমি জোর পূর্বক দখল করে নিয়েছে ফারুক। ফান্দাউক বাজারের কাপড় ব্যবসায়ী সনজিৎ জানায়, বাজারের উত্তর দিকে সাবেক সোনালী ব্যাংকের নিকট তাদের একটি বাজার ভিটি আধাপাকা ঘর সহ জোরে দখল করে ফারুক।

স্থানীয়রা জানায়,ফান্দাউক বাজারের বিশিষ্ট স্বর্ণ ব্যবসায়ী শংকর বণিক ও তার ভাইয়ের মাঝে ঝগড়া সৃষ্টি করিয়ে ও ঋষিপাড়ার এক ঝগড়া মীমাংসা দেওয়ার শর্তে উভয় পক্ষের কাছ থেকে মোটা অংকের উৎকোচ নেয় ফারুক।তাছাড়াও বিভিন্ন লোকজনকে দিয়ে ঝগড়া সৃষ্টি করে সমাধানের নামে জরিমানার টাকাও হাতিয়ে নেওয়ার নেয়ার অভিযযোগ রয়েছে ফারুকের ।বাড়ী হারা গুরুপদ আচার্য্য ও কৃষ্ণ দাস বাড়ী ফিরে পেতেনাসিরনগরের সাংসদ বি,এম,ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম সহ মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছে ।

মাদক আর জুয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় গত ২৯ মার্চ ২০১৮ ফারুকের সন্ত্রাসী বাহিনীরা ফিল্মি স্টাইলে বর্বরোচিত হামলা চালায় ফান্দাউক ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি জানে আলম ভূইয়া সায়েমের দোকানে ও লোকজনের উপর। ওই হামলায় সায়েমের দোকানের কয়েক লক্ষ টাকার মালামাল ক্ষতি ও লুটপাট হয়। মামলা হামলায় আহত হয় প্রায় ২৫ জনের অধিক লোক। ওই নিয়ে সায়েম বাদী হয়ে ফারুক সহ বেশ কয়েকজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলাটি বর্তমানে পুলিশ তদন্ত ব্যুরো অব বাংলাদেশ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখার ইন্সপেক্টর মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান তদন্ত করছে বলে তিনি মুঠো ফোনে এ প্রতিনিধিকে নিশ্চিত করেন। এ বিষয়ে জানতে চেয়ে ফারুকুজ্জামানের মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।

সংবাদটি পছন্দ হলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Somoynewsbd24.Com