সংবাদ শিরোনাম
কমলগঞ্জে শমশেরনগরে রেলপথ ঘেষে জমে উঠে অবৈধ পশুর হাট; দুর্ঘটনার আশঙ্কা

কমলগঞ্জে শমশেরনগরে রেলপথ ঘেষে জমে উঠে অবৈধ পশুর হাট; দুর্ঘটনার আশঙ্কা

Exif_JPEG_420

কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
সিলেট—আখাউড়া রেল সেকশনের মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ জনপদ শমশেরনগর বাজারে রেলপথ ঘেষে বসে পশুর হাট। ফি বছর লাখ লাখ টাকা বাজার ইজারা হলেও পশুর হাটের নির্দিষ্ট কোন জায়গা নেই। প্রতি রোববার ও বুধবার অবৈধভাবে রেলপথ ঘেষে পশুর হাট বসলেও দেখার যেন কেউ নেই। রেলওয়ে কতৃর্পক্ষের আপত্তি সত্ত্বেও নিয়মিত বসছে পশুর হাট। ফলে যেকোন মুহুর্তে বড় ধরণের দুর্ঘটনারও আশঙ্কা রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, আপত্তি উপেক্ষা করে কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর রেলস্টেশনের দক্ষিণ পাশে লাল গোদামের সাথেই পশুর হাট পরিচালনা করছেন বাজার ইজারাদার। রেললাইনের সাথে রেলের লাইন দিয়ে বেড়া বসিয়ে অবৈধভাবে সপ্তাহে রোববার ও বুধবার পশুরহাট বসছে। স্টেশন এলাকার বাউন্ডারী ও সীমানা প্রাচীর না থাকায় বাজারে ক্রয় বিক্রয়ের জন্য নিয়ে আসা পশু এদিক সেদিক ছুটাছুটি করছে। পশুর হাট বসানোর কারনে রেললাইনের পাথরও ছিটকে যাচ্ছে। এতে ট্রেন চলাচলেও ঝঁুকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। বাজার ইজারাদার কোনকিছু তোয়াক্কা না করেই নিজের ইচ্ছেমতো পশুরহাট পরিচালনা করছেন। রেললাইনের পাশে এই স্থান দিয়ে পথচারীসহ স্থানীয়দের যাতায়াতের রাস্তাও। পশুরহাট বসার কারনে যাতায়াতেও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। রেলপথের নিরাপত্তার স্বার্থে পশুর হাট না বসানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে বাংলাদেশ রেলওয়ের ঢাকাস্থ বিভাগীয় প্রকৌশলী—২ কে গত বছরের ২৩ মে একটি চিটি প্রেরন করেন শ্রীমঙ্গলের উর্ধ্বতন উপ—সহকারী প্রকৌশলী (পথ)।
এবছর ৮৩ লক্ষ ২০ হাজার টাকা মূল্যে এক বছরের জন্য শমশেরনগর পশুরহাটসহ বাজার ইজারা গ্রহণ করেন কয়েছ মিয়া। এরপরও পশুর হাটের নির্দিষ্ট কোন জায়গা না থাকায় ক্রেতা—বিক্রেতাসহ সবাইকে ভোগান্তি পোহাত হচ্ছে।
বিক্রেতা রফিক মিয়া, মানিক মিয়া বলেন, রেললাইনের পাশে গরু—ছাগল নিয়ে আসা আসলেও ঝঁুকিপূর্ণ। যেহেতু বাজার ইজারা হচ্ছে এবং সরকারও বিপুল পরিমাণ রাজস্ব পাচ্ছে সেহেতু পশুর হাটের নির্দিষ্ট ও নিরাপদ জায়গা বের করা প্রয়োজন। এখানে পশুর হাটের মতো কোন স্থান নেই। একদিকে রেললাইন অপরদিকে ময়লা—আবর্জনাস্থল।
শমশেরনগর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার জামাল হোসেন বলেন, ইজারাদারকে বার বার আপত্তি দেয়া সত্বেও জোরপূর্বক রেললাইনের পাশেই পশুরহাট বসানো হয়। এতে ঝঁুকি বেড়ে উঠছে। বিষয়টি উর্ধ্বতন কতৃর্পক্ষকেও অবহিত করা হয়েছে। চিঠি দিয়েও আপত্তি জানানো হয়েছে।
অভিযোগ বিষয়ে শমশেরনগর বাজার ইজারাদার কয়েছ মিয়া বলেন, এখানে পশুরহাট বসে, সেটি উপজেলা নিবার্হী কর্মকতার্ও জানেন। পশুরহাটের নির্দিষ্ট জায়গা না থাকায় এখানে দীর্ঘদিন ধরেই হাট বসছে। এতে কোন সমস্যা হচ্ছে না।
এ ব্যাপারে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকতার্ জয়নাল আবেদীন বলেন, বিষয়টি পুরোপুরি আমার জানা নেই। তবে রেললাইনের পাশে পশুরহাট বসানোর বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।

সংবাদটি পছন্দ হলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Somoynewsbd24.Com