সংবাদ শিরোনাম
রেল যাতায়াত, যানজট ও লোডশেডিং সমস্যা সমাধানের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নাগরিক ফোরামের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত কক্সবাজারে লেফটেন্যান্ট তানজিম হত্যার ঘটনায় সেনাবাহিনীর অভিযানে ৬ জন আটক গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের খসড়া তালিকায় ৭০৮ জন সিডস ফর দ্য ফিউচারের আঞ্চলিক পর্বে অংশ নিতে চীনে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা সরাইলে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’দল গ্রামবাসীর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ।। আহত-৫০ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বজ্রপাতে এক কৃষকের মৃত্যু রাঙামাটিতে পর্যটন ভ্রমণে তিন দিনের নিষেধাজ্ঞা ইবির সাবেক শিক্ষক ড. নকীব নসরুল্লাহ হলেন ইবির নতুন উপাচার্য নবীনগরে গলায় ফাঁস দিয়ে এক গৃহবধূর আত্মহত্যা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভুয়া সাংবাদিক ও অপসাংবাদিকতা প্রতিরোধে কমিটি গঠন।। আহ্বায়ক আরজু ও সদস্য সচিব আল আমিন শাহীন
তিন সন্তানের জননীকে ভাগিয়ে বিয়ে করলেন এএসআই রাসেল

তিন সন্তানের জননীকে ভাগিয়ে বিয়ে করলেন এএসআই রাসেল

সময়নিউজবিডি টোয়েন্টিফোর ডেস্ক রিপোর্ট     

তিন সন্তানের জননীকে ভাগিয়ে নিয়ে বিয়ে করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রাসেল মিয়া। এ নিয়ে তোলপাড় চলছে।
বিবাহিত হওয়ার পরও প্রবাসীর স্ত্রীকে ভাগিয়ে নিয়ে বিয়ে করে এখন উভয় সংকটে পুলিশ কর্মকর্তা রাসেল। এ ঘটনায় গত ১৭ সেপ্টেম্বর পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন প্রবাসী মো. কবির হোসেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালে সদর উপজেলার ক্ষুদ্র ব্রাহ্মণবাড়িয়া গ্রামে বিয়ে করেন কবির হোসেন। তাদের ঘরে রয়েছে তিন শিশুসন্তান। ২০১৭ সালের ২ আগস্ট সৌদি আরবে পাড়ি জমান কবির। ২০১৮ সালে কবিরের শ্যালক সাব্বিরের পুলিশ ক্লিয়ারেন্স আনতে গিয়ে সদর মডেল থানা পুলিশের এএসআই রাসেল মিয়ার সঙ্গে পরিচয় হয় কবিরের স্ত্রীর। পরিচয়ের সূত্র ধরে প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলেন রাসেল।

কবিরের অভিযোগ, আমার স্ত্রীকে বিয়ে করে পুলিশ কর্মকর্তা রাসেল শহরের কলেজপাড়া এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতে থাকেন। প্রবাসে থাকাকালে স্ত্রীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১১ লাখ ১৩ হাজার টাকা পাঠাই। সেই টাকা নিয়ে রাসেলের সঙ্গে চলে গেছেন স্ত্রী।

জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় কর্মরত থাকা অবস্থায় প্রবাসীর স্ত্রীকে বিয়ে করেন দুই সন্তানের জনক রাসেল। প্রবাসীর স্ত্রীকে ভাগিয়ে নিয়ে বিয়ের ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর দ্রুত নোয়াখালী জেলায় বদলি হন রাসেল। তবে ঘটনার খবর পেয়ে গত ১ সেপ্টেম্বর সৌদি আরব থেকে দেশে ছুটে আসেন প্রবাসী কবির। এরপর সংসার ভাঙার বিচার নিয়ে হাজির হন জেলা পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাছে।

কবির বলেন, বিয়ের পর থেকে পর্দানশীল ছিল আমার স্ত্রী। কিন্তু প্রবাসে থাকার সময় সেই স্ত্রীর বেসামাল ছবি দেখতে পাই। স্ত্রী সিগারেট টানছেন, মদের বোতল বিছানায় ছড়ানো। এমন ছবি আমার কাছে পাঠানো হয়। বিদেশে যাওয়ার সময় শ্বশুরবাড়ি কান্দিপাড়া এলাকায় স্ত্রী-সন্তানকে রেখে যাই। কিন্তু রাসেলের সঙ্গে সম্পর্ক হওয়ার পর কান্দিপাড়া ছেড়ে কলেজপাড়ায় বাসা ভাড়া নেয় স্ত্রী।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রবাসে থাকাকালে গত ৫ মে কবিরকে তালাক দেন স্ত্রী। তালাকের নোটিশ আগস্ট মাসে সৌদি আরবে কবিরের হাতে পৌঁছে। এরই মধ্যে রাসেলকে বিয়ে করেন তিনি।

এ বিষয়ে প্রবাসীর স্ত্রী বলেন, আগের স্বামীর সঙ্গে গত দুই বছর ধরে বনিবনা ছিল না। আমি যদি কবিরের সংসার না করি তাহলে আরেকজনকে বিয়ে করার অধিকার আমার আছে। রাসেল পারিবারিকভাবে আমার পরিচিত। তার সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে মানুষ নানা কথা বলছে। সে কারণে রাসেলকে বিয়ে করেছি।

তিনি আরও বলেন, সংসার করা এই বিয়ের উদ্দেশ্যে নয়। যদি সংসার করার ইচ্ছা থাকতো তাহলে তার সঙ্গে নোয়াখালী চলে যেতাম। আমি জানি তার বউ-বাচ্চা আছে। এরপরও তাকে বিয়ে করেছি।

তবে নিজেকে পরিস্থিতির শিকার দাবি করে পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রাসেল মিয়া বলেন, বিয়ে না করলে ঝামেলা হবে বলেই বিয়ে করতে হয়েছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, অভিযোগের বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে এ বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সূত্রঃ  জাগোনিউজটুয়েন্টিফোর। 
ইনামসময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।     

সংবাদটি পছন্দ হলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Somoynewsbd24.Com