সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর রিপোর্ট
ডিজিটাল সেবা জনগণের দোর গোড়ায় পৌছে দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্তের আলোকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশ বিশেষ ধরণের ইলেট্রনিক ডিভাইস Point of Sale (POS) এর মা৷।। মে ই-ট্রাফিক সিস্টেম চালু করতে যাচ্ছে। ট্রাফিক ডিভিশনের সকল কাজ ডিজিটালাইজড করার লক্ষ্যে এই ই-ট্রাফিক পাইলট প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয় নভেম্বর/২০১০ সালে। আনুষ্ঠানিকভাবে এর কার্যক্রম শুরু হয় ২৪ সেপ্টেম্বর/২০১২ সালে।
আগামীকাল ২২ অক্টোবর ২০১৯ ইং রোজ মঙ্গলবার থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় ই-ট্রাফিক সিস্টেম চালু হবে। ই-ট্রাফিকের সহায়তায় এগিয়ে এসেছে মোবাইল কোম্পানী গ্রামীনফোন এবং ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক।
ট্রাফিক পুলিশ বর্তমানে একটি ছক বাঁধা কাগজে মামলা লিখে দেয়। পরবর্তীতে উক্ত মামলার জরিমানা ট্রেজারী চালানের মাধ্যমে চালক অথবা মালিক নিজে সোনালী ব্যাংকে গিয়ে জমা প্রদান করে। ই-ট্রাফিক সিস্টেম চালু হলে এ ভোগান্তি লাঘব হবে। ই-ট্রাফিক ব্যবস্থায় ট্রাফিক পুলিশের হাতে থাকবে। একটি ইলেট্রনিক ডিভাইস (POS) যাহাতে প্রিন্ট আকারে ছক করা থাকবে। ট্রাফিক কর্মকর্তা শুধু আইন লংঘনকারী গাড়ী বা চালকের তথ্য, জব্দ করা দলিলের তথ্য লিখে লংঘিত আইনের ধারা উল্লেখ করে মামলার ডাটা ইনপুট দিবে। এরপর ঐ যন্ত্র থেকে একটি কাগজের স্লিপ বের হয়ে আসবে। উক্ত স্লিপে অপরাধের ধরণ অনুযায়ী জরিমানার টাকার পরিমান উল্লেখ থাকবে। এরপর উক্ত ব্যক্তি ÒU-CashÓ অথবা বিকাশের মাধ্যমে উল্লিখিত জরিমানার টাকা পরিশোধ সাপেক্ষে মামলা নিষ্পত্তি করে জব্দকৃত দলিল তাৎক্ষণিকভাবে নিয়ে যেতে পারবে। পস-ডিভাইস এর মাধ্যমে যানবাহনের রেজিস্ট্রেশনের নাম্বার, চেসিস ও ইঞ্জিন নাম্বার, ড্রাইভিং লাইসেন্স যাচাই-বাছাই, গাড়ির ট্যাক্স টোকেন সংক্রান্ত তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে যাচাই বাছাই করা যাবে। ই-ট্রাফিক সিস্টেম চালু হওয়ার ফলে মামলার দীর্ঘসূত্রতা কমবে, ব্যক্তির সময় বাঁচবে। সর্বোপরি দেশের আপমর জনগণ উপকৃত হবে।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply