সংবাদ শিরোনাম
বালুখালির ইয়াবা ডন আবছার বেপরোয়া ! সিন্ডিকেট ভিত্তিক চলছে চোরাচালানী

বালুখালির ইয়াবা ডন আবছার বেপরোয়া ! সিন্ডিকেট ভিত্তিক চলছে চোরাচালানী

কক্সবাজার সংবাদদাতা//সময়নিউজবিডি  

কক্সবাজার উখিয়ার বালুখালির ইয়াবা ডন নুরুল আবছার প্রকাশ আবছার মেম্বার মাদক- মানবপাচার এবং চোরাচালানীর শীর্ষে থেকে এখনো অধরাই রয়েগেছে। প্রশাসনের একেরপর এক মাদক বিরুধী অভিযান অব্যাহত থাকলেও বালুখালি রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘিরে তার বাহিনীর উৎপাত কোনভাবে যেন থামছে না। মাদক এবং সরকারি ২.২৭ একর জায়গা দখলসহ নানা অপকর্মের বিরুদ্ধে এলাকার সচেতন লোকজন সরকারের উচ্চ মহলে লিখিত অভিযোগ করলে এবং ২০১৯ সালের ৫ নভেম্বর শ্রমিক মারধরের প্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে বালুখালির ১০৫ জন টমটম চালক কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নিকট অভিযোগ দায়েরর সূত্রে জানা যায়,  আবছার মেম্বার একজন ইয়াবা ও মানবপাচারকারীদের গডফাদার হিসেবে পরিচিত। সরকারী জায়গা দখল ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পের চোরাকারবারি করে শতকোটি টাকার মালিক সাজছে। তার রয়েছে অপরাধ জগতের একটি শক্তিধর সিন্ডিকেট। তার সিন্ডিকেটটির সক্রিয় সদস্যরাও ইয়াবার টাকায় আঙুল ফুলেছে। এইচক্রে অন্তত  ১৫/২০ জন কাজ করে। তাদের কাজই হচ্ছে ক্যাম্পের চোরাচালান নিয়ন্ত্রণ,  সীমান্তের মাদকের নিয়মিত মাসুহারা নেয়া ও ইয়াবা কারবারিদের টাকা দিয়ে পুনর্বাসন করা, মালেয়শিয়ায় রোহিঙ্গা পাচারসহ নানান অসাধু কাজের মাধ্যমে হয়ে ব্যবহার হওয়া। এলাকার লোকজন কোনরকম প্রতিবাদ করলে মামলার ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ নানান হুমকি দেয় অাবছার মেম্বার। 
সরেজমিন পরিদর্শন করে জানা যায়, বালুখালির মৃত নাজির আহমদের পুত্র নুরুল আবছার প্রকাশ আবছার মেম্বার ও একই এলাকার মৃত হাফিজুর রহমানের পুত্র রহমান আলীর নেতৃত্বে প্রায় ৩ বছর ধরে ইয়াবা ব্যবসা ও মানবপাচারের ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে আসছেন। আবছার মেম্বার  এক সময় সোনারপাড়া সৌদিয়া হ্যাচারীতে ৫ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করতো কিন্ত তার ঘরে আজ আলাদ্বীনের চেরাগের মতোন অঢেল সম্পদের মালিক। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগসহ বেশ কয়টি মামলা রয়েছে। উখিয়া থানাতে মামালা রয়েছে জি আর ১৫/১৬ ও কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত-২ এ রয়েছে সি আর মামলা ৪১/১৪৬।
সরেজমিনে আরো জানা যায়, আবছার মেম্বার তিন বছরে সম্পদের পাহাড় গড়ছে একশত গুন। সে সোনারপাড়ায় হ্যাচারীতে চাকুরি করার সময় বালুখালির শীর্ষ ইয়াবা কারবারি রহমান আলীকে কৌসলে কাছে টানেন। পরে সে চাকুরি ছেড়ে তার সাথে নেমে যায় মরণদশার ইয়াবা পাচারে। শুরু হয় তার উত্থান! গড়ে তুলে মাদক ও রোহিঙ্গা পাচার এবং চোরাচালানীর শক্তিধর সিন্ডিকেট। 
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক লোক জানায়, বালুখালির টোটাল ইয়াবা ও অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করে আবছার সিন্ডিকেট। অন্যান্যরা হচ্ছে মৃত হাফিজুর রহমানের পুত্র রহমান আলী, সে বিভিন্ন থানায় তিনটি ইয়াবা মামলার আসামী। রহমান আলীর পুত্র লুৎফর রহমানও বিগত ৬ মাসে ইয়াবা ব্যবসা করে কোটি টাকার মালিক বনে যায় বর্তমানে আলিশান ঘরের ও গাড়ির মালিক তার ও একটি ইয়াবা মামলা আছে।
এ ছাড়া আবছারের  খালাত ভাই বার্মায়া আবদুল করিম পুত্র মোহাম্মদ হোছাইন প্রকাশ মনু। বালুখালী আট নাম্বার ক্যম্পের বাসিন্দা।সে ইয়াবা নিয়ে ধরা পড়ে বর্তমানে চট্টগ্রাম কারাগারে বন্দি আছে।  তার সিন্ডিকেটের অন্যান্যরা তার নিকটাত্মীয় আবছার মেম্বারের দুই ভাগিনা ইযাবা ফরিদের পুত্র মুহিদুল আলম ও আলমগীর নিসা। তারা দুইজন রীতিমত ইয়াবা সেবন করে এবং খুচরা বিক্রেতা বলেও এলাকায় সমধিক পরিচিত। এমন কি আলমগীর নিসার ইয়াবা নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন তার আপন চাচী ও চাচাতো বোন যারা এখনো পর্যন্ত কক্সবাজার কারাগারে হাজতি হিসেবে আছেন। অন্যদিকে আবছার মেম্বারের ভাতিজা মুহিন ও রাজিব তার ছত্রছায়ায়  মাদকাসক্ত হয়ে গ্রামেগ্রামে ইয়াবা ব্যাবসা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন সময়ে প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে বালুখালির  মৃত ইসলামের পুত্র নুরুল আলম আবুধাবিতে ইয়াবা পাচার করতেন। একইভাবে তারা সাবাই আবছারের শেল্টারে ইয়াবা কারবার জড়িয়ে ক্যাম্প কেন্দ্রীক মাদকের হাটকে সচল রাখেন। এমনকি স্থানীয়রা এই প্রতিবেদককে বলেন, আবছার মেম্বারের মদদে তার চাচাতো ভাই সুলতান আহমদ চুলুর পুত্র নুরুল হাকিম প্রকাশ আব্বু বেশ কিছুদিন আগে নুরুল আলমের  ইয়াবা নিয়ে ধরা পড়ে কারাগার যায় সম্প্রতি সে জামিনে বের হয়ে আসে।খোঁজ নিয়ে আরো জানা যায়, তার খালাতো ভাই মামাতো ভাই ফুফাতো ভাই সবাই ইয়াবা ব্যাবসার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত। তবে ক্যাম্পের ভেতরকার সকল মাদক সাপ্লাইয়ার হিসেবে পরিচিত পিতা মৃত আবদুল হক গ্রাম ডাক্তার ফরিদুর আলম। যে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী আসার পর থেকে তার ছোট ভাই মনজুর কে নিয়ে নতুন করে ইয়াবা ব্যবসা করে যাচ্ছে। তাদের সাথে রয়েছে বার্মার ইয়াবার মহাজন এবং তারা সকলে ধরাছোঁয়ার বাইরে।
এ বিষয়ে জানতে নুরুল আবছারের মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমি এসব অপরাধের সাথে জড়িত নই। রাজনৈতিক বিরোধ থেকে এমন অভিযোগ আনা হচ্ছে। 
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উখিয়া থানায় নবাগত অফিসার ইনচার্জ মর্জিনা আক্তার বলেন, বালুখালির আবছার মেম্বারের বিরুদ্ধে আপাতত এমন অভিযোগ পাইনি। আপনারা তদন্ত করে প্রতিবেদন করেন যদি সত্যতা পাই তাহলে অবশ্যই  আইনানুগ ব্যাবস্থা নিবো।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।    

সংবাদটি পছন্দ হলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Somoynewsbd24.Com