সংবাদ শিরোনাম
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনা ভাইরাসে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকতে ও সকলকে সতর্ক রাখতে জেলা পুলিশের প্রচারণা; নজরদারীতে প্রবাসীরা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনা ভাইরাসে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকতে ও সকলকে সতর্ক রাখতে জেলা পুলিশের প্রচারণা; নজরদারীতে প্রবাসীরা

স্টাফ রিপোর্টার//সময়নিউজবিডি

বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসে বিভিন্ন দেশে দিনদিন বাড়ছে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা। এরই মাঝে বাংলাদেশেও করোনা ভাইরাসে এখন পর্যন্ত ১৭ জন রোগী সনাক্ত করে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। যার ফলে সরকারের পক্ষ থেকে সারাদেশে নেওয়া হয়েছে প্রতিরোধ মূলক ব্যবস্থা। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে দেশবাসীকে সতর্ক থেকে সরকারের দেওয়া নির্দেশনা মানতে আহবান করা হয়েছে। এসব বিষয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে স্থানীয় প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও জেলার সিভিল সার্জন কার্যালয়ে সরকারের বিভিন্ন দপ্তর থেকে দিক নির্দেশনা দিয়ে তা বাস্তবায়নের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ থেকে গত ১৫ মার্চ ২০২০ ইং তারিখে স্বাক্ষরিত প্রেরিত পত্রে বিভিন্ন দেশ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ৮৭৬৭ জন এবং ১৬ ও ১৭ মার্চ তারিখে ২০৭ জনসহ সর্বমোট ৮ হাজার ৯শত ৭৪ জন প্রবাসী বিমানযোগে বাংলাদেশে আগমন করে এবং ইতিমধ্যে তারা নিজ নিজ এলাকায় অবস্থান করছেন বলে জানানো হয়েছে। পত্রে বলা হয়েছে আগমনকৃত প্রবাসীরা করোনা ভাইরাস আক্রান্ত দেশ হতে এসেছেন। সেজন্য তাদেরকে  আগমনের তারিখ হতে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার সরকারি নির্দেশনা রয়েছে বলেও জানায়।

এ ছাড়াও যে সমস্ত যাত্রীরা বাংলাদেশে বিভিন্ন দেশ হতে আসবে তাদের ক্ষেত্রেও একই ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জন কন্ট্রোল অফিসের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদেরসহ আগত সকল ব্যক্তিদের নিয়মিত হোম কোয়ারেন্টাইন বিষয়ে পর্যক্ষেণ ও তাদের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত তথ্য নিয়ে নিয়মিত প্রতিবেদন প্রেরণ করা হচ্ছে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে। জেলা পুলিশের পক্ষ হতে করোনা ভাইরাস বিস্তার রোধকল্পে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহন ও সমন্বয় করার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান সকল থানার অফিসার ইনচার্জকে স্পেশাল ব্রাঞ্চের নির্দেশনা যথাযথ পালন করতে বলেছেন। প্রত্যেক ইউনিয়ন ও পৌরসভা পর্যায়ে মেয়র, চেয়ারম্যান, কাউন্সিলর, মেম্বার, রাজনৈতিক ব্যক্তি ও সুধীজনদের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। 

এদিকে করোনা ভাইরাসের বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জেলা পুলিশের পক্ষ হতে বিভিন্ন তথ্য সম্বলিত লিফলেট জেলা সদরসহ প্রতিটি থানা এলাকায় বিলি করা হচ্ছে।বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় সংগঠন কর্তৃক করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের বিষয়ে জনসচেতনামূলক কার্যক্রম পরিচালনা, মাস্ক, সেনিটারাইজার সামগ্রী বিতরণকালে জেলা পুলিশের পক্ষ হতে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে। পুলিশ সুপারের কার্যালয়সহ জেলার সকল পুলিশ ইউনিট সমূহে আগত দর্শনার্থী ও পুলিশ সদস্যদের হাত ধোয়াসহ সেনিটারাইজার সামগ্রীর ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। অহেতুক আতংকিত না হওয়ার ব্যাপারে লোকজনদের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে জেলা পুলিশ এবং সকল থানার ফেইসবুক আইডি’র মাধ্যমে সোস্যাল মিডিয়ায় জনসচেতনা বৃদ্ধির লক্ষে বিভিন্ন তথ্য প্রচার করা হচ্ছে। সিভিল সার্জন অফিস এবং জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে গঠিত কমিটির সাথে সার্বক্ষনিক সমন্বয় পূর্বক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলায় ১৪ জন প্রবাসী হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে। তন্মধ্যে ১২ জনই ইটালি থেকে ফেরত অপর ০২ জন সৌদি আরব ও ক্রোয়েশিয়া থেকে আগত বলে জানিয়েছেন। 
অপরদিকে হোম কোয়ারেন্টাইনে না থেকে অবাধে ঘুরাফেরার কারণে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নাছির উদ্দিন সারোয়ার ওমান ফেরত মনির হোসেন নামে এক প্রবাসীকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে এবং আখাউড়া উপজেলায় হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ইতালি ফেরত নোমান খন্দকার স্থানীয় বাজারে অবাধে ঘোরাফেরা করায় আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তার রেইনা নোমান খন্দকারকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। 
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।    

সংবাদটি পছন্দ হলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Somoynewsbd24.Com