স্টাফ রিপোর্টার//সময়নিউজবিডি
করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা প্রদানের জন্য স্থান নির্ধারণ করে আইসোলেশন ইউনিট গঠনসহ সচেতনতামূলক প্রচার কাজ শুরু করেছে জেলা প্রশাসক হায়াত উদ-দৌলা খাঁনের নেতৃত্বে মনিটরিং টিম। গত সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসক হায়াত উদ-দৌলা খাঁন এর নেতৃত্বে মনিটরিং টিম ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার পৌর আধুনিক সুপার মার্কেটের তৃতীয় তলা, এ.আর মোল্লা হল ও ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন পরিদর্শন করেছেন। এসময় সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ শাহ আলম, পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সাবেক পৌর চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকারসহ স্বাস্থ্য বিভাগ ও পৌরসভার কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসক হায়াত উদ-দৌলা খাঁন বলেছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি আইসোলেশন ইউনিট গঠন করা হয়েছে। করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য পৌর আধুনিক সুপার মার্কেটের তৃতীয় তলা, এ.আর মোল্লা ভবন ও ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন ভবনে আইসোলেশন খোলার জন্য স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য এসব আইসোলেশন ইউনিট প্রস্তুত করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে গঠিত টিম ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার তত্ত্বাবধানে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু হয়েছে। প্রস্তুাবিত এ কেন্দ্র তিনটি পরিদর্শন করার পর পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে আইসোলেশন ইউনিট গঠন এর উপযোগী করার আহবান জানান তিনি। তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এখনও করােনা ভাইরাস বাহিত কােন রােগী বা ব্যক্তি পাওয়া যায়নি। এতদসত্ত্বেও করােনা আক্রান্ত রােগীদের চিকিৎসার জন্য র্যাপিড রেসপন্ড মেডিকেল টিম করা হয়েছে। এই টিমে মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, অর্থোপেডিস, সার্জারি বিশেষজ্ঞ, আবাসিক মেডিকেল অফিসার, নার্সিং সুপার ভাইজার রয়েছেন। এছাড়া হাসপাতালে কর্মরত সবাই চিকিৎসা সেবায় নিয়ােজিত থাকবেন। নিজেদের ব্যক্তিগত প্রটেকসনেরও প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। তবে করােনা ভাইরাস প্রতিরােধ সম্পর্কে সবাইকে নিয়ম মেনে এবং সর্তক হয়ে চলাচল করার পরামর্শ দেন তিনি।
তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ছাড়াও গােটা জেলায় সর্তক নজরদারি রয়েছে। সদর হাসপাতাল, নতুন ভবন করােনা ভাইরাস রােগীদের জন্য অইসােলেশন ইউনিট করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ সার্বক্ষণিক তদারকিসহ নজরদারী করছে। চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার পাশাপাশি জনসচেতনতা বাড়াতে বিভিন্ন সামাজিক, গণমাধ্যমের প্রচারণা, পােস্টার ও লিফলেট বিতরণের ব্যবস্খা করা হয়েছে। বাহির থেকে বাড়িতে যাওয়ার পর ভালোভাবে সাবান দিয়ে হাত ধােয়াসহ পড়নের কাপড় রােদে রাখার জন্য পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। করােনা ভাইরাস নিয়ে অহেতুক আতঙ্কিত না হতে সচেতনতা সৃষ্টির আহ্বান জানান তিনি।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply