বিশেষ প্রতিবেদক, সময়নিউজবিডি
জীবনের সকল নির্যাতন লাঞ্ছনা বঞ্চনা ও অপ্রাপ্তির বেদনা মুছে দিতে মমতাময়ী প্রধানমন্ত্রী ছাত্রলীগের সাংগঠনিক নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাৎ চেয়ে নিজের ফেসবুক আইডিতে স্ট্যাটাস দিয়ে আকুতি জানিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের রাজনীতিতে বার বার নির্যাতিত হওয়া কারাবরণকারী ছাত্রনেতা ও কাঙ্খিত পদ পদবীতে পৌঁছতে চূড়ান্ত অবস্থানে থেকেও শেষ মূহুর্তে অদৃশ্য শক্তির কাছে বার বার হেরে গিয়ে নিজের স্বপ্ন ভঙ্গের পরেও দলের আদর্শ থেকে পিছপা না হওয়া পিতা মুজিবের আদর্শে গড়া বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যাওয়া ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসান লেনিন।
যে লেনিন দলের দুঃসময়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রাজপথ গুলো তার প্রিয় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে নিজেদের দখলে রাখতে গিয়ে বার বার মৃত্যুর মুখে পড়েও বেঁচে আছেন ছাত্রলীগের একজন ত্যাগী ও আদর্শিক ছাত্রনেতা হিসেবে।
যার আদর্শ ও নেতৃত্বের গুণে জেলা ও সকল উপজেলায় লেনিন কর্মী ছাত্রলীগ নেতা সৃষ্টি হয়েছে হাজার হাজার। যা বিভিন্ন রাজনৈতিক সভা সমাবেশে ও আন্দোলনে প্রত্যক্ষ করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাসী।
পিতা মুজিবের আদর্শে গড়া প্রিয় নেত্রী মমতাময়ী প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশকে স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে প্রিয় নেতা র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপির হাতকে শক্তিশালী করতে নিজের জীবন বাজি রেখে কাজ করে যাওয়া বঞ্চিত এই ছাত্রলীগ নেতা সকল লাঞ্ছনা
বঞ্চনা নির্যাতন ও দুঃখ কষ্ট ভুলে যাওয়ার জন্য তার শৈশব কৈশোরে যে স্বপ্ন নিয়ে ছাত্রলীগের পতাকার নিচে নিজেকে আবদ্ধ করেছিলেন সেই স্বপ্নের কথাগুলো লিখে নিজের ফেসবুক আইডিতে একটি লেখা পোস্ট করেছেন।
যা ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
ছাত্রলীগ নেতা লেনিন’র পোস্ট করা স্ট্যাটাসটি নিচে তুলে ধরা হলো।
আমার ছাত্র রাজনীতির ১৩ বছরের ও অধিক সুদীর্ঘ এই পথচলায়….কখনো রাজনীতিতে প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির ওলাভ – লোকসানের হিসাব কষিনি।
আমি পথ চলেছি আমার মতো করে।চলার পথে অদ্যাবধি আমি কখনোই লাভে কিংবা লোভে এমনকি কারও কোন ভয়ে নিজে বিন্দুমাত্র নীতি-আদর্শচ্যুত হইনি, কখনো কারও সাথে কোন বিষয়ে আপোষ করিনি।
ব্যক্তিস্বার্থ নিয়ে কখনো ভাবিনি আর আজও ভাবি না।
হ্যা, অনেক ক্ষেত্রে আপোষ না করে নিজের মতো পথচলার কারণে এবং মুখের উপরে স্পষ্ট ভাষায় নিজের এবং অগণিত বঞ্চিত কর্মীদের মনের কথা গুলো বলার কারণে প্রভাবশালী মহলের বিরাগভাজন হয়েছি আর অসংখ্য বার নিশ্চিত প্রাপ্তি হতে বঞ্চিতও হয়েছি।
তবুও পথচলা থামিয়ে দিইনি কিংবা নিজেও থেমে যাইনি। কারণ আমি কিছু পাবার আশা নিয়ে রাজনীতিতে যুক্ত হইনি।
আমি রাজনীতিতে এসেছি সাধারণ ও বঞ্চিত মানুষদের না বলা কথাগুলো স্পষ্ট ভাষায় বলতে,যে বিষয় নিয়ে কথা বলতে সবাই ভয় পায়..?আমি সেই কথাগুলো বলে মনে আনন্দ পাই।
যদি ব্যক্তিস্বার্থ এবং প্রাপ্তির চিন্তা করে রাজনীতি করতাম তবে তো ছাত্র রাজনীতির পথচলার প্রারম্ভেই তৎকালীন প্রভাবশালী মহলের বিরাগভাজন হতাম না আর রাজনীতিতে সদ্য যুক্ত হয়েই তৎকালীন সময়ের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রাজনীতির নিয়ন্ত্রণ মাফিয়াদের বিরোধিতা না করে তাদের শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবেই স্রোতের তরে গা ভাসিয়ে দিতাম আর এতোদিনে প্রাপ্তির ভান্ডার আর ব্যাংকের লকার শতভাগ পরিপূর্ণ থাকতো।
সুতরাং রাজনীতির এই পাওয়া না পাওয়ার বিষয় নিয়ে ভেবে নিজের সময় বিনষ্ট করার আর হতাশার স্রোতে ভেসে হারিয়ে যাওয়ার পাত্র আমি লেনিন না।
এক জীবনে আমার চাইতে বেশি স্বপ্ন বোধ হয় ইহলোকের আর কোন মানব সন্তানের ভঙ হয়নি।
এখন রাজনীতি তে নিজের বলতে অবশিষ্ট কোন স্বপ্ন আমার নাই।
তবে, রাজনীতিতে যুক্ত হবার ও আগে থেকে আমি আমার মনের গহীনে একটা ইচ্ছেকে আজও বাঁচিয়ে রেখেছি এবং এই একটি মাত্র চাওয়া আমার পূরণ হলেই অন্তত আমার রাজনীতিতে আগমন ও সামগ্রিক রাজনৈতিক জীবন ও কর্মকান্ডকে স্বার্থক বলে এবং নিজেকে সফল বলে গণ্য করবো।
#আমার_শৈশব_কাল_থেকে_লালিত_সেই_স্বপ্নটি #হলো……
👉জীবনে একবার, কেবল একটি বার, মমতাময়ী জননী, দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনাকে খুব কাছ থেকে দেখবো…..
👉প্রিয় নেত্রীর সাথে একটু কথা বলবো…..
👉প্রিয় নেত্রীর পা ছুয়ে সালাম করবো…..
&….
👉প্রিয় নেত্রীর সাথে একটা ছবি তুলবো……
জানি না আদৌ আমার এই ইচ্ছেটুকু কখনো পূরণ হবে কি না….?
কখনো প্রিয় নেত্রী, মমতাময়ী জননীর সান্নিধ্যে পৌঁছাতে পারবো কি না….?
এই একটা ইচ্ছা পূরণে আমি আমার রাজনৈতিক গুরুজনদের সদয় সুদৃষ্টি কামনা করছি এবং আমার শৈশব কাল থেকে লালিত স্বপ্নটুকু পূরণের সুযোগ করে দেয়ার জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ করছি।
#আমি_বিশ্বাস_করি,আমার রাজনৈতিক গুরুজনের যে কোন একজনের সামান্য চেষ্টাতেই আমার শৈশবকাল থেকে লালিত মনোবাসনাটুকু পূরণ সম্ভব।
এই ইচ্ছাটুকু পূরণ করার মধ্য দিয়ে আমি আমার দু’চোখে ঘটাতে চাই আনন্দ অশ্রুপাত….
আছে কি আমার সেই সৌভাগ্য….?হবে কি আমার আজন্ম লালিত স্বপ্নটুকু পূরণ….?আমি ছুতে চাই কেবল একবার মমতাময়ী জননী——প্রিয়নেত্রী, দেশরত্ন—জননেত্রী শেখ হাসিনা’র চরণ।
মেহেদী হাসান লেনিন যে সব পদে দায়িত্ব পালন করেন নিচে তা তুলে ধরা হলো — ▪সাবেক সদস্য, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।(মেয়াদকালঃ ফেব্রু-জুলাই ২০১৮)▪সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক,ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগ।(মেয়াদকালঃ মে ২০১৫ – ফেব্রু ২০১৮)▪সাবেক সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত)ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ।(মেয়াদকালঃ মার্চ ২০০৯ – এপ্রিল ২০১২)▪সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক,ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ।(মেয়াদকালঃ জুন ২০০৫ – মার্চ ২০০৯)।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply