স্টাফ রিপোর্টার//সময়নিউজবিডি
করোনা সংকট মোকাবেলায় ঢাকা চট্রগ্রামের পর বেসরকারীভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চালু হয়েছে করোনা রোগী সনাক্তের জন্য নমুনা পরীক্ষার পিসিআর ল্যাব। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘাটুরায় চিকিৎসাসেবার আধুনিকায়নের রূপকার ডা: মোঃ আবু সাঈদ এর উদ্যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এ ল্যাব পরীক্ষামূলক চালু হয়েছে বৃহস্পতিবার। এর উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ দৌলা খান। এসময়ে ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার,সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ মোঃ শওকত হোসেন সিভিল সার্জন ডাক্তার মোঃ একরাম উল্লাহ, প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ সভাপতি আল আমীন শাহীন. ডাঃ নওশীন নাওয়ার সহ অন্যান্যরা । পরীক্ষামুলকভাবে এটি চালু হলেও ২০ জুন থেকে উন্মুক্তভাবে এখানে নমুনা পরীক্ষা এবং এখান থেকে দ্রুত রিপোর্ট পাওয়া যাবে।প্রতিদিনি প্রায় তিন শতাধিক রোগীর নমুনা পরীক্ষা এখানে হবে।। সরকার নির্ধারিত ফিতে এখানে এখন নমুনা পরীক্ষা করা হবে। তবে ডাঃ মোঃ আবু সাঈদ জানান বেসরকারীভাবে প্রতিটি পরীক্ষার কিট ২ হাজার ৮শ টাকা স্যাম্পল কালেকশন খরচ ৩শ টাকামোট ৩১ শ টাকা খরচ করে দরিদ্রজনগোষ্টীর পরীক্ষা দুঃসাধ্য। তাই সরকারীভাবে এখানে কিট সরবরাহ হলে নামমাত্র সার্ভিস চার্জের বিনিময়ে নমুনা পরীক্ষা সম্ভব হবে।
সাম্প্রতিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনা পজেটিভ এর সংখ্যা বাড়ছে। নমুনা পরীক্ষার চাহিদা এখানে ব্যাপক। সার্বিক পরিস্থিতি মোকাবেলায় বেসরকারী উদ্যোগে ল্যাবটি চালু হওয়ায় উদ্যোক্তাকে ধন্যবাদ জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খান।তিনি বলেন, করোনা মোকাবেলায় সরকারী বেসরকারী সম্মিলিত উদ্যোগ প্রয়োজন । এক্ষেত্রে চালু হওয়া ল্যাবটি রোগী নিশ্চিতে এবং রোগ প্রতিরোধে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার বলেন, ঈদের পর করোনার প্রাদুভাব বেড়েছে।স্থানীয়ভাবে নমুনা পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা উপর গুরুত্বারোপ করে তিনি সরকারী হাসপাতালে ল্যাব স্থাপন সহ শুরু হওয়া ল্যাবে সরকারী ভাবে কীট সরবরাহের দাবী জানান।
সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ মোঃ শওকত হোসেন বলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দ্রুত রোগী সনাক্ত না হওয়ায় রোগের বিস্তার হচ্ছে। ঢাকা থেকে রিপোর্ট পেতেও বিলম্ব হয়। পিসি আর ল্যাব চালু হওয়ায় স্বাস্থ্য সেবার ক্ষেত্রে সুবিধা হবে।সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ আকরামুল্লাহ বলেন, করোনা প্রাদুর্ভাব নিয়ে ব্রাহ্মণবড়িয়ায় ঝুকি এবং চ্যালেঞ্জ রয়েছে। পিসিআর ল্যাবটি চালু হওয়ায় রোগ সনাক্তের হার বাড়বে।রোগ সনাক্ত হলে প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেয়া দ্রুত হবে।ডাঃ মোঃ আবু সাঈদ বলেন জনস্বার্থেই পিসিআর ল্যাবটি চালু হয়েছে। এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজে ১ শ শয্যার আইসোলেশন সেন্টার রয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর সেবার জন্যই এসব উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।তিনি চিকিৎসাসেবার ব্যাপারে সকল মহলের সহযোগিতা কামনা করেন।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply