স্টাফ রিপোর্টার//সময়নিউজবিডি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে মাদক ব্যবসায় ও সরকারি সড়ক দখল করে ঘর তোলায় বাঁধা দেওয়ার জেরধরে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী লিলু মিয়া ও সুহেল মিয়ার সমর্থকদের হামলায় অন্তত অর্ধশতাধিক লোকজন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় কয়েকটি দোকানপাট ভাংচুর ও লুটপাট করেছেন তাদের দাঙ্গাবাজরা। এ ঘটনায় পুলিশ ৩০ জনকে আটক করেছে।
শনিবার (০৮ আগস্ট) বিকেল ৩ টায় উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের মনিপুর বন্দরবাজার এলাকায় এ হামলা ও দোকান ভাংচুর ও লুটতরাজের ঘটনাটি ঘটেছে।
জানা যায়, উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের আতকাপাড়া গ্রামের ইউনুছ মিয়ার ছেলে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী লিলু ও একই গ্রামের গনু মিয়ার ছেলে ও মাদক ব্যবসায়ী সুহেল দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক ব্যবসা করে আসছে। এতে পত্তন ইউনিয়ন পরিষদের ১ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃ সেলিম মিয়া ও পত্তন ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম বাঁধা দিয়ে আসছে। এতে তাদের উপর ক্ষুব্ধ চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী লিলু (৪০) ও সুহেল (৩০) সহ তাদের সাঙ্গফাঙ্গরা। সম্প্রতি মাদক ব্যবসায়ী লিলু মনিপুর দুলি বাড়ি সংলগ্ন শেখ হাসিনা সড়কের কিছু অংশ দখল করে ঘর নির্মাণ করতে গেলে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ সেলিম মিয়া রাস্তার জায়গা দখল করে ঘর তুলতে বাঁধা দেয়। এসময় সেলিম মেম্বারের সাথে মাদক ব্যবসায়ী লিলু ও সুহেলের বাকবিতণ্ডা হয়। পরে রাস্তা দখল করে ঘর নির্মাণের বিষয়টি উপজেলা ভূমি অফিসকে অবগত করেন সেলিম মেম্বার।
আজ শনিবার দুপুরে শেখ হাসিনা সড়কের জায়গা দখল করে ঘর নির্মাণের বিষয়টির সত্যতা যাচাই করতে উপজেলা ভূমি অফিস থেকে সরজমিনে তদন্ত করতে যায় সার্ভেয়াররা। তদন্ত শেষে ঘটনাস্থল থেকে সার্ভেয়াররা চলে আসলে মাদক ব্যবসায়ী লিলু ও সুহেল তার দলবল নিয়ে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মনিপুর বন্দরবাজারে ইউপি ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলামের দোকানে প্রথমে হামলা ভাংচুর ও লুটপাট করে আরো কয়েকটি দোকানে ভাংচুর ও লুটতরাজ চালায়। পরে উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে দেড়ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত অর্ধশতাধিক লোকজন আহত হয়েছে। পরে সংঘর্ষের খবর পেয়ে বিজয়নগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাটিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
আহতরা হলেন- মোঃ সাচ্চু মিয়া (৫০), সেলিম মেম্বার (৪৮), তিতাস মিয়া (৪২), মাহফুজ মিয়া (৪২), শাহীন মিয়া (৩০), দেলোয়ার হোসেন (২৮), ছুট্টন মিয়া (৫২) সুমন মিয়া (৩০), শাহাবুদ্দিন (২৮), বুরহান মিয়া (২৫), কুদ্দুস মিয়া (২৮), দুলাল মিয়া (৪০), সাচ্চু মিয়া (৪৫), আলু মিয়া (৫৫), সাদ্দাম (২৮), মুক্তার হোসেন (৩০) সহ উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হয়। আহতদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ৩০ জনকে আটক করা হয়েছে।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply