সরাইল প্রতিনিধি//সময়নিউজবিডি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতের আদেশে সোমবার বিকালে সরাইল উপজেলা সহকারী কমিশনার ( ভূমি) ও ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা প্রিয়াংকা ও সরাইল থানা তদন্ত কর্মকর্তা মো:শফিকুল ইসলাম উপস্থিতিতে উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের কাটানিসার গ্রামের কবরস্থান থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়।
পরে ময়না তদন্তেরর জন্য লাশটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া পাঠানো হয়। নিহত বায়েজিদ সরাইল উপজেলার কাটানিসার গ্রামের মো. হেলাল মিয়ার ছেলে।
জানা যায়, গত ১৩মে ২০২০ কাটানিসার গ্রামের মাসুক মিয়ার পুকুরের ঘাটলায় রক্তাত্ত অবস্থায় বায়েজিদ(৮)কে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদও হাসপাতালে নিয়ে ভত্তি করালে বায়েজিদের অবস্থা অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যায়। পরে বায়েজিদকে চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় ময়না তদন্ত ছাড়াই তার গ্রামের কবরস্থানে দাফন করেন। নিহত বায়েজিদের বাবা হেলাল মিয়া মৃত্যু ২ মাস পর বাদী হয়ে গত ১৯ জুলাই ২০২০ ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে ১০ জনকে আসামী করে একটি মামলা করেন। ২১জুলাই ২০২০ আদালত লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়না তদন্তে আদেশ দেন।
সরাইল উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা প্রিয়াংকা বলেন, আদালতের আদেশে সোমবার লাশটি কবর থেকে উত্তোলন করা হয়।
মামলার বাদী নিহতের পিতা হেলাল মিয়া অভিযোগে বলেন, তার ছেলে বায়েজিদকে প্রতিবেশী মাসুরা মারধর করে তাদের বাড়ির পুকুরের ঘাটলাযয় ফেলে চলে যায়। নিহত পিতা হেলাল মিয়া ঘটনার ২ মাস পর ঘটনা জেনে এই মামলা করেছেন বলে উল্লেখ করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের পরিদর্শক মিজানুর রহমান জানান, বায়েজিদ হত্যার ঘটনায় তার পিতা বাদী হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে ১০ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা করে। তাই মামলাটি তদন্তের স্বার্থে লাশের ময়না তদন্ত করা জরুরী। এ কারণে আদালতে আবেদন করলে আদালতের আদেশ মোতাবেক আজ সোমবার কবর থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়। এ মামলার ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply