কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে অগ্নিকান্ডে সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব এখন পল্লী চিকিৎসক নুরুল ইসলাম। রবিবার(১৬ জানুয়ারী) বেলা দেড়টায় আদমপুর ইউনিয়নের নতুনবাজারে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় একটি ফার্মেসী, রেস্তোরা, মুদী দোকানসহ ৪টি দোকান পুড়ে আসবাবপত্র, ঔষধ ও মালামাল মিলিয়ে প্রায় দশ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভূক্তভোগীরা।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোস্তফা কামাল ও ব্যবসায়ী ইলিয়াছ মিয়া, আব্দুল হকসহ একাধিক লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, রবিবার বেলা দুইটায় পল্লী চিকিৎসক নুরুল ইসলাম, জইমত মিয়া, মামন মিয়া ও সালাম মিয়ার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আগুন লাগে। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটে এ অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত বলে ধারণা করা হচ্ছে। নুরুল ইসলাম জানান, জীবিকা নির্বাহের একমাত্র অবলম্বন ফার্মেসীর সব কিছু পুড়ে যাওয়ায় তিনি দিশেহারা।
এ বাজারের অপর ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন, মফিজ মিয়া ও আলম মিয়া জানান, অগ্নিকান্ডে অন্যান্য দোকান ছাড়াও পল্লী চিকিৎসক নুরুল ইসলামের ফার্মেসীর সব আসবাবপত্র ও মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ঘটনার সাথে সাথে ফায়ার সার্ভিসে বারবার ফোন দিলে কেউ রিসিভ করেনি। পরে ৯৯৯ নাম্বারে ফোন দিয়ে ফায়ার সার্ভিসের সাহায্য চাইলে প্রায় এক ঘন্টা পর উপজেলা সদর থেকে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ততক্ষণে এলাকাবাসীরা আগুণ নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল স্টেশন কমলগঞ্জের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অজিত কুমার সিংহ ফোন রিসিভ না করার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখি আগুন নিয়ন্ত্রণে। আমরা কিছু মালামালও আগুনের কবল থেকে উদ্ধার করি।
তবে এলাকাবাসীর অভিযোগ, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সময়মতো পৌঁছালে অগ্নিকান্ডের ক্ষয়ক্ষতি থেকে ভূক্তভোগীরা পরিত্রাণ পেতো।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply